দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে কুনো জাতীয় উদ্যানে আনা আরও এক চিতার মৃত্যু হল। শাশার পর মারা গেল উদয়।মধ্যপ্রদেশের বনদপ্তরের তরফে এ খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। রবিবার বন সংরক্ষণের দায়িত্বে থাকা জেএস চৌহান জানান, “উদয় নামের আরও একটি চিতা, যাকে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আনা হয়েছিল, তার মৃত্যু হয়েছে। চিতাটি অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। চিকিৎসা চলছিল। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। তবে মৃত্যুর কারণ এখনও সঠিক ভাবে জানা যায়নি।” জানা গিয়েছে, এদিন সকালেই জাতীয় উদ্যানের কর্মীরা লক্ষ্য করেন চিতাটি অসুস্থ। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে মেডিক্যাল সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই বিকেল চারটে নাগাদ প্রাণ হারায় উদয়। সোমবার তার ময়নাতদন্ত করা হবে।
গত ২৭ শে মার্চ কুনো জাতীয় উদ্যানে সাশা নামে একটি চিতার মৃত্যু হয়। কুনো জাতীয় উদ্যানের তরফেই সাশার মৃত্যুর খবর জানানো হয়। কুনো উদ্যানে আসার আগে থেকেই সাশা কিডনির অসুখে আক্রান্ত ছিল বলে পার্ক কর্তৃপক্ষের দাবি। নামিবিয়া থেকে নিয়ে আসার ছয় মাসের মধ্যেই সাশার মৃত্যু হয়। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে একমাসের মধ্যে আরও এক চিতা মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে কুনো জাতীয় উদ্যানে। অন্যদিকে, দুই চিতার মৃত্যুতে বর্তমানে কুনো জাতীয় উদ্যানে মোট চিতার সংখ্যা দাঁড়াল ১৮।
১৯৫২ সালেই ভারতের মাটি থেকে বিলুপ্ত হয়ে যায় চিতা। তারপর পুনরায় দেশে চিতা ফিরিয় আনতে তৎপর হন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর উদ্যোগেই দীর্ঘ সাত দশক পর নামিবিয়া থেকে নিয়ে আসা হয় চিতাশাবক। গত বছর ৮টি চিতা আসে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজে সেগুলি কুনো ন্যাশনাল পার্কে ছাড়েন। তারপর এবছর আরও ১২টি চিতা দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে নিয়ে আসা হয়েছে এবং সেগুলিও রাখা হয়েছে মধ্যপ্রদেশের কুনো জাতীয় উদ্যানে।