বিজেপির প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের পাশে দাঁড়িয়ে যৌথ বিবৃতি দিল INDIA জোট। বুধবার INDIA জোটের সমন্বয় কমিটির বৈঠক শেষে যে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, বিজেপির প্রতিহিংসার জেরেই ইন্ডিয়া জোটের সমন্বয় বৈঠকে থাকতে পারলেন না অভিষেক। কংগ্রেস নেতা কেসি বেণুগোপাল বলেন, ‘‘সমন্বয় কমিটির সদস্য অভিষেককে আজকেই তলব করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এই ঘটনা কেন্দ্রের প্রতিহিংসার রাজনীতির উদাহরণ।’’
ইন্ডিয়া (INDIA) জোটের সমন্বয় কমিটির প্রথম বৈঠকের দিনই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) তলব করেছে ইডি। যার জেরে এদিন সমন্বয় কমিটির বৈঠকে উপস্থিত হতে পারেননি অভিষেক। বৈঠকের দিন অভিষেককে এভাবে তলব করায় আগেই প্রতিবাদ করেছিলেন ইন্ডিয়ার জোট শরিকেরা। এমনকী, এই তলবের প্রতিবাদে জোটের সমন্বয় কমিটির বৈঠকে অভিষেকের জন্য একটি চেয়ার ফাঁকাও রাখা হয়েছিল।তবে শিব সেনা বা এনসিপির মতো দল অভিষেকের পাশে দাঁড়িয়ে মুখ খুললেও কংগ্রেস মুখে কুলুপ এঁটেছিল। এমনকী বঙ্গ কংগ্রেসের নেতারা অভিষেককে নিশানা করে টিপ্পনিও করেন। তাই কংগ্রেসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ছিল। কিন্তু বৈঠক শেষে সমন্বয় কমিটি একটি যৌথ বিবৃতি দিয়ে সব বিতর্কে ইতি টেনে দিল।
আরও পড়ুন: G 20 Summit: স্পেশাল কমান্ডো, ৩০০ বুলেটপ্রুফ গাড়ি, শুক্রবার থেকে দুর্গের চেহারা নিচ্ছে দিল্লি
বৈঠক শেষে যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে বেণুগোপাল জানান, অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে মধ্যপ্রদেশের রাজধানী ভোপালে হবে বিজেপি বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র প্রথম জনসভা। মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্বের মতো বিষয়গুলি সামনে রেখে ওই সমাবেশ হবে। সেই সঙ্গে বুধবার দিল্লিতে সমন্বয় ও নির্বাচনী রণকৌশল কমিটির প্রথম বৈঠকের পর এই ঘোষণা করে বেনুগোপাল বলেন, ‘‘যত দ্রুত সম্ভব আসন সমঝোতার বিষয়ে আমরা আলোচনা করব।’’
প্রসঙ্গত, গত ১ সেপ্টেম্বর দুপুরে মুম্বইয়ের সান্তাক্রুজে বিজেপি বিরোধী ২৮টি দলের শীর্ষ নেতা-নেত্রীদের বৈঠকে তৈরি হয় ‘ইন্ডিয়া’র ১৩ জনের কো-অর্ডিনেশন (সমন্বয়) কমিটি। ওই কমিটিতে তৃণমূলের প্রতিনিধি হিসাবে রয়েছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই কমিটিতে ১৪ জন সদস্য থাকার কথা। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সিপিএমের তরফে কোনও নাম ঘোষণা করা হয়নি। ১৩ জনের সমন্বয় কমিটির অন্য নামগুলি হল শরদ পওয়ার (এনসিপি), কেসি বেণুগোপাল (কংগ্রেস), টিআর বালু (ডিএমকে), তেজস্বী যাদব (আরজেডি), হেমন্ত সোরেন (জেএমএম), মেহবুবা মুফতি (পিডিপি), ওমর আবদুল্লা (ন্যাশনাল কনফারেন্স), সঞ্জয় রাউত (শিবসেনা-উদ্ধব), লালন সিংহ (জেডিইউ), জাভেদ আলি খান (সমাজবাদী পার্টি), ডি রাজা (সিপিআই) এবং রাঘব চাড্ডা (আপ)।