তিহাড় জেলে মেয়েকে দেখেই হাউহাউ করে কেঁদে ফেললেন কেষ্ট। জেল সূত্রে খবর, গত শনিবার গরু পাচার কেলেঙ্কারিতে ধৃত বাবা অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে জেলেই দ্বিতীয়বারের জন্য দেখা হয় মেয়ে সুকন্যার।
তিহাড় জেল সূত্রে খবর, আধ ঘণ্টার জন্য বাবা ও মেয়েকে কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। মেয়ে সুকন্যাকে Sukanya Mondal)দেখেই আবগপ্রবণ হয়ে পড়েন গোরু পাচার মামলায় জেলবন্দি অনুব্রত মণ্ডল। কান্নায় ভেঙে পড়েন বীরভূমের এই দৌর্দন্ড্যপ্রতাপ তৃণমূল নেতা ।
কোনওমতে নিজের আবেগ সামলে অনুব্রত সুকন্যাকে বলেন, “তোর দিল্লি আশা উচিত হয়নি।” জবাবে সুকন্যা মণ্ডল বাবাকে বলেন, “বারবার নোটিশ পাঠাচ্ছিল আমায়। কী করব? বাধ্য হয়ে আসতে হয়েছে।” এরপরই মেয়েকে আশ্বাস দিয়ে বাবা বলেন, “সব ঠিক হয়ে যাবে। চিন্তা করিস না।”
এরপর কেষ্ট কন্যা খানিক অভিযোগের সুরেই বলেন, “অ্যারেস্ট হওয়ার আগেও আমি তোমার সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলাম। কাস্টডিতেও কথা বলতে চেয়েছিলাম। কিন্তু, আমায় অনুমতি দেওয়া হয়নি।” কেন্দ্রীয় এজেন্সির বিরুদ্ধে তাঁর ক্ষোভ বাবার সামনে উগরে দেন কেষ্ট কন্যা ।
এখন গরুপাচার মামলায় তিহার জেলে বন্দি অনুব্রত মণ্ডল। সেখানে তাঁর শরীর খারাপ বলে আদালতে জানিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভূম জেলার সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তাই তিনি জামিন চেয়েছেন। যা এখনও মেলেনি। আর সুকন্যা নিজেই এসেছিলেন ইডির দফতরে। তারপর গ্রেফতার হয়ে যান তিনি। এই খবর পেতেই জোর ধাক্কা পেয়েছিলেন অনুব্রত। তারপর থেকেই জেলের অন্দরে চুপচাপ হয়ে যান তিনি বলে সূত্রের খবর।