দিল্লির পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে যাবতীয় জল্পনার অবসান হয়েছে একটু আগে। বিজেপির সুষমা স্বরাজ, কংগ্রেসের শীলা দীক্ষিতের পর আম আদমি পার্টিও রাজধানীকে একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রী উপহার দিল।
মঙ্গল বার সন্ধ্যায় দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর (উপরাজ্যপাল) ভিকে সাক্সেনার সঙ্গে দেখা করে নিজের ইস্তফাপত্র তুলে দেন কেজরী। তাঁর সঙ্গেই সাক্সেনার কাছে গিয়ে দিল্লিতে নতুন সরকার গড়ার দাবি জানিয়েছেন আপের নবনির্বাচিত পরিষদীয় নেতা অতিশী মারলেনা।
এদিন সকালেই আপের বিধায়কদলের বৈঠকে অতিশীকে নেত্রী হিসাবে বেছে নেওয়া হয়। তাঁর নাম প্রস্তাব করেন আপ সুপ্রিমো কেজরিওয়াল নিজেই। আগামী ২৬-২৭ সেপ্টেম্বর দিল্লি বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন চলাকালীন শপথ নেবেন।
অরবিন্দ কেজরিওয়ালের তাঁর মন্ত্রিসভার এই মহিলা মন্ত্রীকে উত্তরসূরি বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্তে কেউই অবাক হননি। শুধু আম আদমি পার্টিই নয়, বিজেপি এবং কংগ্রেসেও গুঞ্জন ছিল আতিশীর নাম নিয়ে। বিরোধীরা এমন একটি পরিস্থিতি তৈরি করেছিল যে আতিশী বাদে অন্য কাউকে আপ সুপ্রিমো মুখ্যমন্ত্রী পদে তাঁর উত্তরসূরি বাছলে মহিলার প্রতি বঞ্চনার অভিযোগ উঠত।
লেফটেন্যান্ট গভর্নরের সঙ্গে দেখা করার পর সংবাদমাধ্যমকে কেজরীর ইস্তফা প্রসঙ্গে অতিশী বলেন, ‘‘বিশ্বের গণতান্ত্রিক ইতিহাসে এই প্রথম এক জন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত তার পক্ষে যথেষ্ট নয়। জনগণের রায় না পাওয়া পর্যন্ত তিনি মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসবেন না।’’
দিল্লির আবগারি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়ার পরেও মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেননি কেজরীওয়াল। তিনিই দেশের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী, যিনি গ্রেফতার হওয়ার পরেও মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন।