সুপ্রিম কোর্টে আপাতত স্বস্তি পেলেন না দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির (আপ) প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল। আবগারি মামলায় ইডির গ্রেফতারি বেআইনি, এমন দাবি করে শীর্ষ আদালতে মামলা করেছিলেন আপ প্রধান। সোমবার সেই মামলার শুনানিতে কেজরীর আবেদনের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার কাছে রিপোর্ট তলব করল সুপ্রিম কোর্ট। আগামী ২৭ এপ্রিল এই মামলার পরবর্তী শুনানি। সে দিনই ইডিকে তাদের রিপোর্ট জমা করতে হবে।
১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হবে লোকসভা নির্বাচন। দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ হবে ২৬ এপ্রিল। তবে এই দুই দিনই জেলে বন্দি থাকবেন কেজরি। কারণ কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তারি নিয়ে পরবর্তী শুনানি হবে ২৯ এপ্রিল বা তার পরে। শুনানির আগে অবশ্য এই গ্রেপ্তারি প্রসঙ্গে ইডির কাছে জবাব তলব করেছে সুপ্রিম কোর্ট। ২৪ এপ্রিলের মধ্যে শীর্ষ আদালতের কাছে নিজের বক্তব্য পেশ করতে হবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, আগামী ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত জেল হেফাজতেই থাকতে হবে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে।
গত ২১ মার্চ আবগারি মামলায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে তল্লাশি অভিযান চালায় ইডি। রাতেই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। দু’দফায় ইডি হেফাজত শেষে গত ১ এপ্রিল দিল্লির আদালত কেজরীকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়। সেই থেকে তিহাড় জেলেই রয়েছেন তিনি। কেজরির গ্রেফতারি বেআইনি বলে দাবি তুলেছে আপ-সহ দেশের বিজেপি-বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’।
দিল্লি হাই কোর্টে এই মর্মে মামলাও করেন কেজরীওয়াল। দিল্লির আবগারি মামলায় গত ২১ মার্চ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। এর পরেই তাঁর গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতের দ্বারস্থ হন আপ প্রধান। গত ৯ এপ্রিল সেই মামলার শুনানিতে রায়দানের সময় দিল্লি হাই কোর্ট জানিয়েছিল, কেজরীর গ্রেফতারি বেআইনি ভাবে হয়নি। গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী যে আবেদন করেছেন, তা ‘ধোপে টিকছে না’ বলেই হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ।
এদিন ১৪ দিনের জেল হেফাজত শেষে সোমবার আম আদমি পার্টির (আপ) প্রধানকে আদালতে ভার্চুয়াল মাধ্যমে হাজির করানো হয়। শুনানি শেষে বিচারক কেজরিওয়ালের জেল হেফাজতের মেয়াদ ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত বৃদ্ধি করলেন।