উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে প্রাক-বর্ষায় অবিরাম বৃষ্টি চলছে। এর মধ্যে অসম (assam) এবং অরুণাচল প্রদেশের (Arunachal pradesh) অবস্থা খারাপ। অসমের বিভিন্ন জায়গায় বন্যা ও ভূমিধ্বসের কারণে স্বাভাবিক জনজীবন ব্যাহত হয়েছে। বিভিন্ন নদীর জল বিপদসীমার অনেকটা ওপর দিয়ে বাইছে। আবহাওয়া দফতরের তরফে আগামী তিন দিন ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়ার পরিস্থিতি আরও জটিল হওয়ার আশঙ্কা।
অসমে ভারী বর্ষণ এবং ভূমিধ্বসের কারণে দিমা হাসাও জেলার হাফলং স্টেশনে সম্পূর্ণরূপে জলের নিচে। বন্যায় ডুবে থাকা স্টেশনের যে ছবি সামনে এসেছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে কীভাবে বন্যার জলের চাপে স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনগুলো লাইনচ্যুত হচ্ছে। ১৫ মে থেকে হাফলংগামী সব রাস্তা এবং রেলপথ অবরূদ্ধ হয়ে রয়েছে। বন্যার জেরে ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের।
অবিরাম বর্ষণে ১৪ টি জেলায় বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। ভাসছে বিশ্বনাথ, বোঙ্গাইগাঁও, কাছাড়, ধেমাজি, ধুবরি, ডিব্রুগড়, হোহাই, কার্বি আংলং, কোকরাঝাড়, লখিমপুর, নাবালগাঁও, জোড়হাট ও কামরুপ । ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলির মধ্যে রয়েছে ডিমা হাসাও, হাইলাকান্দি এবং করিমগঞ্জ।
ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে জাতীয়সড়ক এবং পাঁচটি রাজ্যসড়ক ক্ষতিগ্রস্ত । বিভিন্ন অঞ্চলে বিদ্যুৎ ও মোবাইল সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। লামডিং-বদরপুর এলাকায় ৫০টির বেশি স্থানে ভুমিধসের কারণে ত্রিপুরা, মণিপুর, মিজোরাম এবং দক্ষিণ আসামের বিস্তীর্ণ অংশে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা।
বন্যার কারণে বাতিল করা হয়েছে একাদশ শ্রেণীর পরীক্ষাও। রাজ্যের উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা এই বিষয়ে এক নির্দেশিকা জারি করেছে। নির্দেশে জানানো হয়েছে ১ জুন পর্যন্ত সকল পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে।
মৃত্যুপুরী অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার সঙ্গে বন্যার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। বন্যা মোকাবিলায় অসমকে সবরকমের সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। এবিষয়ে অমিত শাহ এক টুইট বার্তায় লিখেছেন, “অসমের বন্যা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। ইতিমধ্যেই সেখানে এনডিআরএফ দল মোতায়েন করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে’।