মাত্র কয়েকমাস আগে ঘটা করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এসে উদ্বোধন করেছিলেন অটল বিহারী বাজপেয়ী সেওয়ারি-নাভা শেভা অটল সেতু। মাত্র পাঁচমাসের ব্যবধানে এই বৃহৎ সেতুতে দেখা দিল ফাটল।
ফাটল নিয়েই এবার আক্রমণের সুর ধরেছে কংগ্রেস। মহারাষ্ট্র কংগ্রেসের সুপ্রিমো নানা পাটোলে এদিন ব্রিজে গিয়ে ফাটল পর্যবেক্ষণ করেন। তাঁর অভিযোগ, ‘মহান নেতা অটল বিহারী বাজপেয়ীর নামে সেতু বানিয়ে তাঁরই সম্মানহানি করছেন মোদী-শাহরা। পাঁচ মাসের মধ্যেই যদি সেতুর এমন হাল হয়, তাহলে পরে তো আরও বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। মহারাষ্ট্রকে এটিএম বানিয়ে রেখেছে নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহের মতো নেতারা। এখানের মানুষের থেকে টাকা নিয়ে নিজেদের ঘর ভরাচ্ছে ওরা। সব জায়গায় দুর্নীতি করে বেড়াচ্ছে।’
VIDEO | Maharashtra Congress chief Nana Patole (@NANA_PATOLE) hits out at the central government over the reported cracks on the Sewri-Nhava Sheva Atal Setu, which was inaugurated by the PM few months ago. pic.twitter.com/NQIBXBA390
— Press Trust of India (@PTI_News) June 21, 2024
অটল সেতু কেবল ভারতের দীর্ঘতম সমুদ্র সেতু নয়, একই সঙ্গে এটি দেশের দীর্ঘতম সেতুও। দৈর্ঘ্যের দিক থেকে বিশ্বের ১২ নম্বর এই সেতু ধরে মুম্বই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে নবি মুম্বই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত পৌঁছনো যায় ২০ মিনিটে, যা আগে লাগত আড়াই ঘণ্টা। এছাড়াও মুম্বই থেকে পুণে, গোয়া এবং দক্ষিণ ভারতে পৌঁছোতে অনেক সময় বাঁচায় এই ব্রিজ। প্রায় ২৮ কিলোমিটার দীর্ঘ (সংযোগকারী সড়ক-সহ) এই সমুদ্রসেতু নির্মাণে ব্যবহৃত হয়েছে প্রায় ১ লক্ষ ৭৮ হাজার টন ইস্পাত।
বাণিজ্যিক এবং অর্থনৈতিক সুবিধার জন্য মুম্বই এবং নবি মুম্বইয়ের মধ্যে দূরত্ব কমাতে সমুদ্রের উপর সেতুটি নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। ২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসে সেতুটি ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারীর নামে সেতুটি নির্মাণ করা হবে বলে জানিয়েছিল কেন্দ্র। যদিও মুম্বই থেকে নভি মুম্বইয়ের মধ্যে সংযোগকারী এই সেতুর পরিকল্পনা আজকের নয়। সেই ১৯৬৩ সাল থেকে এই সেতুর পরিকল্পনা ছিল। অবশেষে এত বছর পর সম্পূর্ণ হয় এই সেতু তৈরির কাজ।