রাম মন্দির উদ্বোধন উপলক্ষে চালু হওয়া অযোধ্যা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ইতিমধ্যেই অস্তিত্ব সংকটে ভুগতে শুরু করেছে। ২০টি শহরের মধ্যে চালু ছিল বিমান চলাচল।
কোনও কোনও বিমান সংস্থা সপ্তাহে সাতদিনই দিনে একাধিক বিমান চালাতো। সেই অযোধ্যা বিমানবন্দর এখন বিমানের অভাবে খাঁ খাঁ করছে। ২০টির জায়গায় মাত্র সাতটি শহরের সঙ্গে বিমান চলাচল করছে এখন। কলকাতা, বেঙ্গালুরু, পাটনার মতো ১৩টি শহরের সঙ্গে বিমান চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ফলে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ঘোষণা করা হলেও কোনও বিদেশি বিমান নামেনি সেখানে। বিদেশি বিমানের জন্য পৃথক রানওয়ে তৈরির প্রকল্পও আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে।
অত্যাধুনিক সুযোগসুবিধা-সহ গড়ে তোলা হয় আন্তর্জাতিক মানের এই বিমানবন্দরটির উদ্বোধনে অযোধ্যায় মেগা রোড শো করেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ২২ জানুয়ারি রাম মন্দির উদ্বোধনের আগে অযোধ্যা রুটে বিমান চালাতে হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে গিয়েছিল। দিল্লি, মুম্বই, বেঙ্গালুরু, জয়পুর, পাটনা-সহ ২০টি শহরের সঙ্গে শুরু হয়েছিল বিমান চলাচল। কলকাতা থেকেও বিমান পরিষেবা চালু হয় রামলালার শহরে।
কিন্তু সাত মাসেই পরিস্থিতি পুরোপুরি বদলে গিয়েছে। আসলে বিমান পরিষেবা চালু রাখার জন্য যে পরিমাণ যাত্রীর প্রয়োজন হয় অযোধ্যার মতো ছোট শহরে সেটা পাওয়া দুস্কর। প্রথমে মনে করা হচ্ছিল, রামমন্দিরের টানে লক্ষ্য লক্ষ্য পুণ্যার্থী আসবেন অযোধ্যায়। কিন্তু সেই টানেও ভাঁটা পড়েছে। তাছাড়া যেসব যাত্রীরা আসছেন তাঁরাও যান সড়ক পথে। যার ফলে অযোধ্যায় বিমান পরিষেবা বন্ধ হওয়ার জোগাড়।
সরকারি সুত্রের খবর, বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিমান সংস্থাগুলিকে নানা সুবিধা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরও সাড়া মেলেনি। অন্যদিকে, খাস অযোধ্যায় যে রামকে উন্মাদনায় ভাটা পড়েছে সেটা টের পাওয়া গিয়েছিল লোকসভা ভোটের ফলাফলে। অযোধ্যা তথা ফৈজাবাদে হেরে গিয়েছে বিজেপি। জিতেছে সমাজবাদী পার্টি।