চলতি বছরের গোড়াতেই এই নিয়ে রামভক্তদের সুখবর শুনিয়েছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। ট্রাস্টি বোর্ডের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, মন্দিরের ৭০ শতাংশ নির্মাণ কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। ফলে খুব দ্রুত এই মন্দির ভক্তদের জন্য খুলে দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তাঁরা।
সম্প্রতি এই ইস্যুতে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। আগামী বছরের পয়লা জানুয়ারি ভক্তদের জন্য মন্দিরের দরজা খুলে দেওয়া হবে বলেই জানিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে ‘শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র’ ট্রাস্টের হিবেসরক্ষক স্বামী গোবিন্দ দেব গিরি মহারাজ জানিয়েছেন, ‘মন্দির নির্মাণের কাজ শেষ হলেই শ্রীরামের মূর্তি মন্দিরে প্রতিষ্ঠা করা হবে।’ ২০২৪-র জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে ভগবান শ্রীরামের মূর্তি প্রতিষ্ঠা করা যাবে বলেই আশাপ্রকাশ করেছেন তিনি।
শুধু তাই নয়, নব নির্মিত রাম মন্দিরে কবে থেকে ভক্তরা প্রবেশ করতে পারবেন, তাও স্পষ্ট করে জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: Menstrual Blood: ‘পুজো’র জন্য ঋতুস্রাবের রক্ত বিক্রি করলেন স্বামী! পুলিশের দ্বারস্থ গৃহবধূ
রাম মন্দির নির্মাণে আনুমানিক ১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে। মন্দির সংলগ্ন এলাকায় বিশিষ্ট হিন্দু ধর্মগুরুদের মূর্তি বসানোর জন্য আলাদা জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই বছরের মধ্যেই মন্দিরের প্রথম তলের কাজ শেষ হবে। ২০২৪ সালের ১৪ জানুয়ারির মধ্যে রামলালার মূর্তির শুদ্ধিকরণ হবে এবং পরের সপ্তাহে মন্দির খুলে দেওয়া হবে সাধারণ ভক্তদের জন্য। মন্দির নির্মাণের কাজ কিছুটা বাকি থাকলেও গর্ভগৃহের কাজ ১০০ শতাংশ সম্পন্ন হয়ে যাবে ততদিনে।
বিজেপির রাজনৈতিক উত্থানের নেপথ্যে অযোধ্যার রামমন্দির ইস্যু চিরকালই বড় ভূমিকা পালন করেছে। ২ জন সাংসদের দল থেকে জাতীয় রাজনৈতিক দল হতে বিজেপির হাতিয়ার ছিল এই রামমন্দিরই। আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগেও ফের একবার সেই রামমন্দিরের ওপরই ভরসা রাখতে চলেছে গেরুয়া শিবির। সেই কারণেই ২০২৪ সালের দিকে তাকিয়েই কাজ শেষ করার তোড়জোড় চলছে।
আরও পড়ুন: Holi Celebration: ককপিটে গুজিয়া খেয়ে ‘হোলি হ্যায়’ উল্লাস, ২ পাইলটকে সাসপেন্ড করল উড়ান সংস্থা