অযোধ্যায় সুবিশাল রাম মন্দির তৈরির কাজ প্রায় শেষ। আগামী ২২ জানুয়ারি সেই রাম মন্দিরের উদ্বোধন করবেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী । কেবল উদ্বোধনই নয়, জানা যাচ্ছে রামলালার মূর্তি অস্থায়ী মন্দির থেকে রাম মন্দিরের গর্ভগৃহে নিয়ে যাবেন মোদীই। প্রায় ৫০০ মিটার পথ তিনি খালি পায়ে মূর্তি হাতে হাঁটবেন। এমনই প্রস্তাব তাঁকে দিতে চলেছে মন্দিরের ট্রাস্ট।
সব কিছু পরিকল্পনামাফিক চললে, ২০২৪-এর ২২ জানুয়ারি, অযোধ্যার অস্থায়ী রামলালার মন্দির থেকে রামলালার মূর্তি, নয়া রামমন্দিরে বহন করে নিয়ে যাবেন প্রধানমন্ত্রী।সেই ক্ষেত্রে অস্থায়ী রাম মন্দির থেকে নবনির্মিত রাম মন্দির পর্যন্ত প্রায় ৫০০ মিটার রাস্তা পায়ে হেঁটে যেতে হবে তাঁকে। আর পথে থাকবে না প্রধানমন্ত্রীর আঁটসাঁট নিরাপত্তাও। সঙ্গে থাকতে পারেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবৎ-সহ বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তি।
ট্রাস্ট জানিয়েছে, মূল রামলালর মূর্তিটা ছাড়াও আরও একটি রামমূর্তি মন্দিরে থাকবে। কর্নাটকের বিশেষ পাথর কেটে বড় মাপের তিনটি রামমূর্তি তৈরি করছেন রাজস্থানের শিল্পীরা। তারমধ্যে একটি মন্দিরে রাখা হবে। সেই মূর্তি বাছাই করা হবে মন্দির উদ্বোধনের দিন সকালে। সকাল সাড়ে ১১’টা থেকে সাড়ে ১২’টা পর্যন্ত চলবে মূল পূজা। তখন অল্প সময়ের জন্য মন্দিরে প্রবেশ করতে পারবেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, রাজপাল আনন্দিবেন প্যাটেল এবং আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। একমাত্র প্রধানমন্ত্রী এবং বারাণসীর কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের প্রধান পুরোহিত লত্ক্ষ্মীকান্ত দীক্ষিত গোটা পূজা পর্বে মন্দিরের ভিতরে থাকবেন। রামলালার স্নান এবং পুজোয় যাবতীয় কাজে ব্যবহার করা হবে দেশের প্রধান নদীগুলির জল।
মন্দির উদ্বোধনের দিন ট্রাস্ট প্রায় আট হাজার জনকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে। তাঁদের মধ্যে রাম মন্দির আন্দোলনে শহিদ করসেবকদের পরিবার, বিভিন্ন ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় সম্মান প্রাপক, সমাজের নানাক্ষেত্রের বিশিষ্টজনেরা আছেন। মন্দির উদ্বোধন তথা রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠাকে সামনে রেখে অযোধ্যা নানা অনুষ্ঠান শুরু হয়ে যাবে ১৬ জানুয়ারি থেকে।
ভোটের মুখে ইন্ডিয়া জোটকে টেক্কা দিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তথা বিজেপির প্রধান অস্ত্রই হতে চলেছে এই রাম মন্দির। এই মন্দির নির্মাণকে সামনে রেখে আসন্ন লোকসভা (Lok Sabha Eletion) নির্বাচনে হিন্দু ভোটের মেরুকরণের লক্ষ্য নিয়ে রেখেছে বিজেপি নেতৃত্ব।