২২ জানুয়ারি রামমন্দিরের (Ram Mandir) আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন, তার আগেই মন্দিরে বসানো হল সোনার দরজা। ট্রাস্ট সূত্রে জানা গিয়েছে, উদ্বোধনের আগভাগে মোট ১৩টি সোনার দরজা বসানো হবে। মন্দির নির্মাণ সম্পূর্ণ হতে হতে মোট ৪৬টি দরজার মধ্যে ৪২টিতে পড়বে সোনার প্রলেপ।
অযোধ্যায় মন্দির নির্মাণের দায়িত্বপ্রাপ্ত ‘শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট’ সূত্রে খবর, যে সোনার দরজাটি বসানো হয়েছে তার কারুকাজ নজরে পড়ার মতো। দরজার মধ্যভাগের দু’দিকে দু’টি হাতি এমন ভঙ্গিমায় রয়েছে যা দেখলে মনে হয় হাতি দু’টি দর্শনার্থীদের স্বাগত জানাচ্ছে। দরজার উপরিভাগে তাকালে দেখা যায় দু’দিকে দুই ব্যক্তি হাত জোড় করে দাঁড়িয়ে রয়েছে। দরজার নীচের দিকে বর্গাকৃতি এলাকায় রয়েছে নানা ধরনের কারুকার্য। ১২ ফুট উঁচু এবং ৮ ফুট চওড়া এই দরজাটি মন্দিরের গর্ভগৃহের উপর তলায় বসানো হয়েছে।
রামমন্দিরে মোট ৪৪টি দরজা এবং ৩৯২টি স্তম্ভ রয়েছে। মন্দির জুড়ে পাঁচটি মণ্ডপ রয়েছে— নৃত্য, রং, সভা, প্রার্থনা এবং কীর্তন। মন্দিরের প্রবেশদ্বারের সামনে রয়েছে হনুমান, হাতি এবং গরুড়ের মূর্তি। মন্দিরের স্তম্ভগুলি জুড়ে আঁকা রয়েছে নানা দেবদেবীর প্রতিমূর্তি।
মঙ্গলবারই উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ঘোষণা করেন যে রাম মন্দিরের উদ্বোধন উপলক্ষে আগামী ২২ জানুয়ারি রাজ্যের সমস্ত স্কুল-কলেজ ছুটি থাকবে। রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন রাজ্যের কোথাও মদ বিক্রি করা যাবে না, এ কথাও জানান তিনি। মন্দিরের নির্মাণের কাজ খতিয়ে দেখার সময়ই মুখ্যমন্ত্রী যোগী জানান, কুম্ভ মডেলে অযোধ্যায় সাফ-সাফাই বজায় রাখা হবে। আগামী ১৪ জানুয়ারি থেকে এই সাফাই অভিযান শুরু হবে।
যদিও মঙ্গলবার রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্রে ট্রাস্ট জানিয়েছে, ১৭ জানুয়ারি রামলালাকে নিয়ে যে শোভাযাত্রার আয়োজিত হওয়ার কথা ছিল, তা বাতিল করা হয়েছে।