Ayodhya Ram Mandir Roof Leaking After First Rain

Ayodhya Ram Mandir: মোদীর উদ্বোধন করা রাম মন্দিরের ছাদ থেকে চুঁইয়ে পড়ছে জল! ৬ মাসেই বেহাল

উদ্বোধনের পর মাত্র ছয় মাস তিনদিন বয়স হয়েছে অযোধ্যার রাম মন্দিরের। এরমধ্যেই মন্দিরের ছাদ থেকে অঝোরে জল পড়ে ভাসিয়ে দিয়েছে রামলালার কক্ষের মেঝে। এমন ঘটনায় বিস্মিত ভক্তবৃন্দ এবং মন্দিরের সঙ্গে যুক্ত সকলেই। মন্দিরের প্রধান পুরোহিত আচার্য সত্যেন্দ্র দাসের বক্তব্য, মেঝেতে জল জমে গেলে রামলালার পুজো হবে কী করে!

রাম মন্দির উদ্বোধনের এখনও এক বছরও হয়নি। চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি ধুমধাম করে উদ্বোধন হয়েছে অযোধ্য়ার রাম মন্দির। ছয় মাস পেরোতে না পেরোতেই সেই রাম মন্দিরের ছাদ থেকে চুঁইয়ে পড়ছে বৃষ্টির জল। ইতিমধ্য়েই নেট মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে রামলালার গর্ভগৃহের ছাদ থেকে বৃষ্টির জল চুঁইয়ে পড়ার খবর। বিষয়টি মেনে নিয়ে রাম মন্দিরের প্রধান পুরোহিত আচার্য্য সতেন্দ্র দাস জানিয়েছেন, প্রথম বৃষ্টির পরই রাম মন্দিরের ছাদ থেকে জল চুঁইয়ে পড়ছে।

গত ২২ জানুয়ারি মহা ধূমধাম করে রাম মন্দিরের উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তখনই বিরোধীদের একাংশ অভিযোগ করেছিল, ভোটের স্বার্থে অসম্পূর্ণ মন্দিরের উদ্বোধন করা হচ্ছে। দেশের চারজন শঙ্করাচার্য আবার শাস্ত্র ঘেটে নিদান দিয়েছিলেন, এই অবস্থায় মন্দির উদ্বোধন বিধি বিরুদ্ধ। তাঁরা উদ্বোধন অনুষ্ঠান বয়কট করেন।

রাম মন্দির উদ্বোধনে আমন্ত্রিত ছিলেন ৭০০০ জন। তাঁদের মধ্য়েই বেশিরভাগ হাইপ্রোফাইল ব্য়ক্তিত্ব। তারকা সমাগমে ধুমধাম করে উদ্বোধন হয় রাম মন্দিরের। প্রায় ১৮০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ হচ্ছে এই রাম মন্দিরে। কাজ করছেন প্রায় ১০০০-এর বেশি কর্মী। এত টাকা খরচ করে যেখানে রাম মন্দির নির্মাণ হচ্ছে সেখানে উদ্বোধনের ছয় মাসের মধ্য়ে গর্ভগৃহে জল চুঁইয়ে পড়ার ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই নির্মাণ কাজ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধান পুরোহিত। মেনে নিয়েছেন জল নিষ্কাশন ব্যবস্থা সঠিক নয়।

অযোধ্যায় রামলালার মন্দিরের প্রধান পুরোহিত আচার্য সত্যেন্দ্র দাস। রামলালার শোচনীয় অবস্থার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “উদ্বোধনের পর প্রথম বর্ষাতেই মন্দিরের ছাদ চুঁইয়ে গর্ভগৃহে জল পড়তে শুরু করেছে। যেখানে রামলালা রয়েছেন সেই জায়গার জল থই থই অবস্থা। এই পরিস্থিতিতে শর্ট সার্কিট যাতে না হয়ে যায় তার জন্য ভোর ৪টে ও সকাল ৬টার আরতি টর্চের আলোতে করতে হচ্ছে।” রীতিমতো ক্ষোভ উগরে মন্দিরের প্রধান পুরোহিত আরও বলেন, “যদি দু’একদিনের মধ্যে কোনও ব্যবস্থা না করা হয় তাহলে বাধ্য হয়েই আমাদের বন্ধ করতে হবে পুজাপাঠ। সেখেত্রে ভক্তদের জন্যও বন্ধ করে দেওয়া হবে মন্দিরের দরজা।”

এদিকে রামমন্দিরের এমন বেহাল অবস্থার জন্য বিজেপি সরকারের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলছেন ভক্তরা। অভিযোগ উঠছে, ভোটের বাজারে ফায়দা তুলতে তাড়াহুড়ো করে মন্দির উদ্বোধন করাই উদ্দেশ্য ছিল বিজেপির। তাই জাঁকজমকের ভিড়ে আসলে ব্রাত্য থেকে গিয়েছেন খোদ রামলালা। বাইরে ঝাঁ-চকচকে ভাবে মন্দির সাজানো হলেও ভেতরের অবস্থা অত্যন্ত বেহাল। তাড়াহুড়োর কাজে যা হওয়ার সেটাই হয়েছে, প্রথম বর্ষাতেই মন্দিরের ছাদ ফেটে জল গড়াতে শুরু করেছে।