আগামী ২২ জানুয়ারি অযোধ্যার রামমন্দিরের গর্ভগৃহে বসবে ‘সেরা’ রামলালার মূর্তি। প্রতিযোগিতায় আছেন তিনজন। গণেশ ভট্ট, অরুণ যোগীরাজ এবং সত্যনারায়ণ পাণ্ডে। তিনজনই নিজেদের মতো করে তৈরি করেছেন রামলালার মূর্তি। এই তিন রূপকারের সৃষ্টির বিচার করবে শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট। তাদের চোখে যেটি সেরা নির্বাচিত হবে, শেষ পর্যন্ত সেই মূর্তিই বসবে পবিত্র গর্ভগৃহে। তবে বাকি দু’টিকেও পুরোপুরি বিদায় দেওয়া হবে না। তাদের স্থান হবে মন্দিরের অন্য অংশে। সূত্রের খবর, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আজই বৈঠকে বসেছে শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট।
নির্মীয়মাণ রামমন্দিরের নির্মাণ সংক্রান্ত বিষয়টি দেখভালের দায়িত্বে রয়েছে এই ট্রাস্টই। আগামী ২২ জানুয়ারি রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠান হবে। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। তা ছাড়াও দেশবিদেশের একাধিক বিশিষ্ট মানুষকে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। ট্রাস্টের তরফে একটি ছবি প্রকাশ করে আগেই জানানো হয়েছিল যে, রামমন্দিরের গর্ভগৃহের কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। এমনকি সেখানে আলোকসজ্জার কাজও কিছু দিন আগে শেষ হয়েছে। এ বার কেবল রামলালার মূর্তি প্রতিষ্ঠার পালা।
ট্রাস্টের সম্পাদক চম্পত রাই জানিয়েছেন, রামচন্দ্রের পাঁচ বছরের শিশুরূপকে কল্পনা করে ৫১ ইঞ্চি উচ্চতার তিনটি মূর্তি তৈরি করানো হয়েছে। ঐশ্বরিক গুণে যে মূর্তিটি সেরা বলে বিবেচিত হবে এবং যে মূর্তিতে রামচন্দ্রের বাল্যবেলার মুখচ্ছবি স্পষ্ট ভাবে ফুটে উঠবে, সেটিকেই চূড়ান্ত করা হবে বলে জানান তিনি।
গণেশ ভট্ট, অরুণ যোগীরাজ এবং সত্যনারায়ণ পাণ্ডেকে কেমন মূর্তি গড়তে হবে, তা জানিয়ে পেনসিল স্কেচ পাঠিয়েছিলেন মুম্বইয়ের শিল্পী বাসুদেব কামাথ। তবে শেষ পর্যন্ত কার সৃষ্টি শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের বাহবা কুড়িয়ে নেবে, তা জানা যাবে আর কিছুদিনের মধ্যেই।
উল্লেখ্য, ১৬ জানুয়ারি হবে রামলালার ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’। উপস্থিত থাকবেন গণেশ্বর শাস্ত্রী দ্রাবিড় এবং লক্ষ্মীকান্ত দীক্ষিত।