খোদ রামরাজ্যেই পিছিয়ে পড়ল বিজেপি। সমাজবাদী পার্টির প্রার্থীর থেকে অনেকটা পিছনে বিজেপির প্রার্থী। সপা প্রার্থী অবধেশ প্রসাদ এগিয়ে রয়েছেন বিজেপি প্রার্থী লাল্লু সিংহের থেকে। ১০ হাজারেরও বেশি ভোটে বিজেপি প্রার্থীকে পিছনে ফেলেছেন সমাজবাদী পার্টির প্রার্থী।
রামরাজ্য অযোধ্যা। চলতি বছরেরই জানুয়ারি মাসে যেখানে রাম মন্দির উদ্বোধন করেছেন খোদ নরেন্দ্র মোদি। সেই অযোধ্যা ফৈজাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। সেখানেই বিজেপি পিছিয়ে থাকার ঘটনা রাজনৈতিক ভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে ৮০ আসনের মধ্যে ৬২টি আসনই পেয়েছিল এনডিএ। কিন্তু এবারের অঙ্ক একেবারে বিপরীতে। দেখা যাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত ইন্ডিয়া জোট এগিয়ে ৪৩ আসনে। এনডিএ সেখানে রয়েছে ৩৬-এ। অন্যান্য ১।
শেষপর্যন্ত এই ট্রেন্ড বজায় থাকলে তা যে বিজেপির জন্য বড় ধাক্কা হতে চলেছে তা নিঃসন্দেহে বলাই যায়। কিন্তু কেন? ভোটব্যাঙ্কে এমন পরিবর্তনের পিছনে ফ্যাক্টর কী? মনে করা হচ্ছে, এর পিছনে যে কটি ফ্যাক্টর রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম জাতিগত জনগণনা ইস্যু। রাহুল গান্ধী বার বার দাবি করেছেন, তাঁরা ক্ষমতায় এলে জাতিগত জনগণনা হবে। অন্যদিকে সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমো অখিলেশ জোর দিয়েছেন ‘পিডিএ’র উপরে। অর্থাৎ ‘পিছড়া দলিত অল্পসংখ্যক’। এর আগে যাদব ও মুসলিমদেরই প্রার্থী করতেন অখিলেশ। কিন্তু এবার দলিতদেরও প্রার্থী করেছে তাঁর দল।
অন্যদিকে বিজেপি জোর দিয়েছিল বরাবরের মতোই, হিন্দুত্ব ইস্যুতে। কিন্তু অতি হিন্দুত্বে ‘গাজন নষ্ট’ হয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি একের পর এক পেপার লিক, বেকারত্বের মতো ফ্যাক্টর যোগী-মোদি ম্যাজিককে ফিকে করেছে। উত্তর প্রদেশে এই ধাক্কার কারণেই বিজেপি তাদের চারশো টার্গেট থেকে অনেকটাই দূরে রয়েছে। যেখানে এনডিএ ৪০০ আসনে জেতার টার্গেট নিয়েছিল। সেখানে এনডিএ এখনও তিনশো পেরোতে পারেনি। এখনও পর্যন্ত ২৯৫টি আসনে এগিয়ে। তার মধ্যে বিজেপি ২৩৯টি আসনে এগিয়ে।