দিল্লি ও পশ্চিমবঙ্গের প্রবীণ নাগরিকরা আয়ুষ্মান ভারতের সুবিধা পাবেন না। কারণ সেখানে তৃণমূল কংগ্রেস ও আম আদমি পার্টি রাজনৈতিক কারণে এই প্রকল্প কার্যকর করতে দেবে না। মঙ্গলবার এক অনুষ্ঠানে এই দুই বিরোধী রাজ্যকে ঠেস মেরে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্য বিমা প্রকল্প সংক্রান্ত একটি কর্মসূচিতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমি দিল্লির এবং পশ্চিমবঙ্গের ৭০ বছরের বেশি বয়সি সমস্ত প্রবীণের কাছে ক্ষমা চাইছি যে আমি আপনাদের সেবা করতে সক্ষম হব না।’’ এর পরে তাঁর মন্তব্য, ‘‘আমি তাঁদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী, যে তাঁরা কেমন আছেন, সে বিষয়ে কোনও তথ্যই আমি পাব না। তাই কোনও সাহায্যও করতে পারব না। এর কারণ হল পশ্চিমবঙ্গের সরকার এবং দিল্লির সরকার এই আয়ুষ্মান যোজনায় যোগ দিচ্ছে না।’’
২০১৮ সালে মোদী সরকারের ‘আয়ুষ্মান ভারত’ চালু হয়। পরিবার পিছু বছরে ৫ লক্ষ টাকার বিনামূল্যে চিকিৎসার সুবিধা মেলে এই প্রকল্পে। নীতি আয়োগের সদস্য ভিকে পলের অধীনে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি এখন এই বিমার মূল্য বাড়ানো সম্ভব কি না তা খতিয়ে দেখছে। ১২.৩৭ কোটি পরিবার আয়ুষ্মান ভারতে যোগ দিয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের একটি সূত্র জানাচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গ ও দিল্লির ১০ থেকে ১১ কোটি মানুষ এই আয়ুষ্মান ভারতের সুবিধা পেতেন। কিন্তু রাজ্য সরকার আয়ুষ্মান ভারতে যোগ না দেওয়ায় লক্ষ্য পূরণে খামতি থেকে গিয়েছে।
তবে একতরফা ভাবে কেন্দ্রের পক্ষে কিছু করা সম্ভব নয়। কারণ রাজ্যকে এই প্রকল্পের ৪০ শতাংশ খরচ বহন করতে হয়। ঘটনাচক্রে, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ‘স্বাস্থ্য সাথী’র মতোই দিল্লি আপ সরকারেরও নিজস্ব স্বাস্থ্য বিমা প্রকল্প রয়েছে। তাই তারা ৪০ শতাংশ খরচ বহন করে মোদী সরকারের একতরফা প্রচারে উৎসাহী নয় বলে এ রাজ্যের শাসকদলের একটি সূত্রের দাবি, পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি হাসপাতাল ‘আয়ুষ্মান ভারত’-এর তালিকাভুক্ত। সেখানে অন্য রাজ্যের মানুষ গিয়ে এই বিমা প্রকল্পের সুবিধা নিয়ে চিকিৎসা করাতে পারেন।