পুলিশি এনকাউন্টারে খতম বদলাপুরে দুই ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনে অভিযুক্ত অক্ষয় শিণ্ডে। পুলিশ ভ্যানের মধ্যে অক্ষয় প্রথমে এক কনস্টেবলের বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে গুলি চালান। পালটা গুলিতে গুরুতর জখম হন অভিযুক্ত। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেখানেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। এই ঘটনায় এক পুলিশকর্মীও আহত হয়েছেন।
বদলাপুরের একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে সাফাইকর্মী ছিল অক্ষয় শিন্ডে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, স্কুলের চার বছরের যে দুই ছাত্রীর উপর লাগাতার যৌন নির্যাতন চালিয়েছিল সে। তদন্তে জানা গেছে, অন্তত ১০-১২ দিন ধরে ওই দুই শিশুর উপরে যৌন নিগ্রহ চালিয়েছিল অক্ষয়। সেই অত্যাচারের কারণে দুই শিশুর যৌনাঙ্গে একাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে।
এই ঘটনায় থানায় শিশুর পরিবার অভিযোগ জানাতে গেলে পুলিশের বিরুদ্ধে গড়িমসির অভিযোগ ওঠে। দীর্ঘ ১২ ঘণ্টা পরে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ফুঁসে ওঠে জনতা। শুরু হয় বিক্ষোভ আন্দোলন। উল্লেখ্য, মহারাষ্ট্রের স্কুলে দুই শিশুকন্যাকে যৌন নির্যাতনের ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ করে বম্বে হাই কোর্ট।
পরে তদন্তে নেমে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। তাকে তালোজায় জেল হেফাজতে রাখা হয়েছিল। কিন্তু এর পর আবার অক্ষয় শিন্ডের স্ত্রী তার বিরুদ্ধে মামলা করে। সেই তদন্তের সূত্রে ঠাণে ক্রাইম ব্রাঞ্চ সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টায় সময়ে অক্ষয় শিন্ডেকে হেফাজতে নেয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঠাণে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।
সন্ধ্যা সাড়ে ৫টা নাগাদ মুমব্রা বাইপাসের কাছে এক কনস্টেবলের বন্দুক ছিনিয়ে নেন অক্ষয়। তারপর কনস্টেবলকে লক্ষ্য করে গুলি চালান। আত্মরক্ষার্থে এক অফিসার অভিযুক্ত অক্ষয়কে লক্ষ্য করে গুলি চালান। তাতেই গুরুতর জখম হন অক্ষয়। দ্রুত তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর।
তবে পুলিশের এই দাবি মানতে নারাজ তাঁর মা। অক্ষয়ের মায়ের দাবি, তাঁর ছেলে বড় ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন। সেই ষড়যন্ত্রের কারণে অক্ষয়কে খুন করা হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।