কেন্দ্রের সংযুক্তিকরণের নীতি, বেতন কাঠামোর পুনর্বিন্যাস, সপ্তাহে পাঁচদিন কাজ-সহ একাধিক দাবিতে ফের ব্যাংক ধর্মঘটের পথে ব্যাংক কর্মীদের ৯টি সর্বভারতীয় সংগঠন। আগামী ৩০ জানুয়ারি সোমবার এবং এবং ৩১ জানুয়ারি মঙ্গলবার ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন তাঁরা।যদিও ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্ক অ্যাসোসিয়েশনের তরফ থেকে এ বিষয়ে কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি। এরপর দুদিন ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্যাঙ্ক ইউনিয়নগুলি।
১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩-এ, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বাজেট পেশ করবেন। তবে তার ঠিক আগে, দু’দিন একটানা ধর্মঘটে থাকবেন সরকারি ব্যাঙ্কের কর্মীরা। মুম্বাইতে ইউনাইটেড ফোরাম অফ ব্যাঙ্ক ইউনিয়ন (UFBU) সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল যেখানে ব্যাঙ্ক ইউনিয়নগুলি দুই দিনের জন্য ধর্মঘটে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আরও পড়ুন: PM Narendra Modi: ভাঙল প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বলয়, মালা হাতে মোদীর কাছে যুবক
এটিএমগুলিও (ATM) ধর্মঘটের আওতাভুক্ত বলে জানিয়েছে ইউনাইটেড ফোরাম অফ ব্যাংক ইউনিয়ন (United Forum of Bank Unions)। শেষ পর্যন্ত যদি এই ধর্মঘট হয়, তাহলে হাজার হাজার গ্রাহক ভোগান্তির মুখে পড়তে পারেন।ব্যাংক কর্মী সংগঠনগুলির মূলত পাঁচ দফা দাবি রয়েছে। প্রথমত, প্রতি সপ্তাহে শনি এবং রবিবার ছুটি দিতে হবে। সাধারণত, প্রতি মাসের দ্বিতীয় এবং চতুর্থ শনিবার ছুটি থাকে কর্মীদের। সেটা প্রতি সপ্তাহে করার দাবি জানাচ্ছেন কর্মীরা। বেতন বৃদ্ধির দাবিও রয়েছে তাঁদের।
শেষবার ২০২১ সালের মার্চ মাসে একই দাবিতে ব্যাংক ধর্মঘট হয়েছিল। প্রায় ১০ লক্ষ ব্যাংক কর্মচারি এবং আধিকারিক সেই ধর্মঘটে অংশ নেন। তারপর একাধিকবার এই সংগঠন ধর্মঘটের ডাক দিলেও শেষপর্যন্ত সরকারের সঙ্গে আলোচনার পর পিছিয়ে এসেছে। টানা তিন দিন ব্যাঙ্কগুলির কার্যক্রম ব্যাহত হলে এই সময়ে, এটিএম-এ নগদ ফুরিয়ে যাওয়ার কারণে চেক ক্লিয়ারেন্সে সমস্যা হতে পারে। জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে এই সময়ের মধ্যে বেতন ও পেনশন রিলিজ, যা বিলম্বিত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: Gurugram: বাইকে চড়ার প্রস্তাবে ‘না’, হেলমেট দিয়ে তরুণীকে বেধড়ক মার, ভাইরাল ভিডিয়ো