বেঙ্গালুরুর একটি ফ্ল্যাটের ভিতর থেকে মিলল এক তরুণীর টুকরো টুকরো করা দেহ। বছর ২৯-এর ওই তরুণীর দেহকে ৩০ টুকরো করে ফেলে রাখা হয়েছিল ফ্রিজের মধ্যে। ঘটনাটি ঘটেছে বেঙ্গালুরুর মল্লেশ্বরমে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই শনিবার পুলিশের এক সূত্রকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, একটি এক কামরার ফ্ল্যাট থেকে তরুণীর দেহাংশগুলি পাওয়া গিয়েছে।
প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, মহিলার মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১৫ দিন আগে। একটি ১৬৫ লিটারের ফ্রিজে রাখা হয়েছিল টুকরোগুলি। জানা গিয়েছে, মৃত মহিলার নাম মহালক্ষ্মী। বয়স আনুমানিক ২৫-৩০। বেঙ্গালুরুতে একাই থাকতেন মহিলা। বাড়ি থেকে পচা গন্ধ বেরোতে দেখে প্রতিবেশীদের সন্দেহ হয়। তারা পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ এসে শনিবার ওই ২০ টুকরো দেহ উদ্ধার করে।
তাঁর স্বামী হেমন্ত দাস। স্বামীর সঙ্গে সম্পর্ক কেমন ছিল সে বিষয়ে কোনও তথ্য এখনও পায়নি পুলিশ। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে তারা।খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা। পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার সতীশ কুমার জানিয়েছে, ‘মৃত তরুণীকে শনাক্ত করা গিয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে এখন কিছু বলা সম্ভব নয়।’ ঘটনাস্থলে স্নিফার ডগ নিয়ে আসা হয়েছে। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা আঙুলের ছাপ ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় নমুনা সংগ্রহ করেছে।
এক কামরার ওই ফ্ল্যাটটিতে ভাড়া থাকতেন তরুণী। মাস তিনেক আগেই ওই ভাড়াবাড়িতে উঠেছিলেন তিনি। কী ভাবে তাঁকে খুন করা হল, কে বা কারা তাঁকে খুন করল, সে বিষয়টি এখনও অস্পষ্ট। আগে খুন করে তার পরে দেহ টুকরো টুকরো করা হয়েছিল, না কি অন্য কিছু— তা-ও রয়েছে পুলিশের তদন্তের আওতায়। ভাড়া নেওয়া ওই ফ্ল্যাটে গত কয়েক দিনে কে কে প্রবেশ করেছেন, সেই সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করেছেন পুলিশকর্মীরা। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, মাঝবয়সি এক ব্যক্তির খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ, যিনি ওই তরুণীর পূর্বপরিচিত।