ব্রিটিশ জমানার ভারতীয় দণ্ডবিধি-সহ তিন আইন অতীত। ১ জুলাই, সোমবার থেকে দেশজুড়ে কার্যকর নয়া তিন আইন – ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা, ভারতীয় সাক্ষ্য অধিনিয়ম। আর তা চালুর সঙ্গে সঙ্গেই দিল্লিতে দায়ের হল নয়া আইনে প্রথম এফআইআর (FIR)। দিল্লির কমলা মার্কেট থানায় এক হকারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। অভিযোগ, নয়াদিল্লি রেলস্টেশনের ফুটব্রিজের সামনের জায়গা দখল করে বিক্রিবাটা করছিলেন। আজ থেকে ভারতীয় দণ্ডবিধি (IPC) বদলে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা আজ থেকেই কার্যকর হওয়ায় নতুন আইনেই মামলাটি দায়ের হয়েছে।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, অভিযুক্ত হকারের নাম পঙ্কজ কুমার। তিনি বিহারের পটনার বাসিন্দা। নয়াদিল্লি রেল স্টেশনের কাছে একটি রাস্তা ঘিরে ব্যবসা চালানোর জন্য তাঁর বিরুদ্ধে নতুন অপরাধমূলক আইনের ২৮৫ ধারার অধীনে পুলিশ এফআইআর দায়ের করেছে বলে খবর।এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, রবিবার রাতে নয়াদিল্লি স্টেশনের কাছের একটি রাস্তায় ওই হকারকে জলের বোতল এবং গুটখা বিক্রি করতে দেখে দিল্লি পুলিশ। অস্থায়ী দোকানটি মানুষের যাতায়াতের পথে বাধা সৃষ্টি করছে জানিয়ে দোকানদারকে সেটি সরিয়ে নিতে বলা হয়। কিন্তু দোকানদার রাজি না হওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়।
২৮৫ ধারা অনুযায়ী, কোনও ব্যক্তি যদি তাঁর দখলে থাকা সম্পত্তির মাধ্যমে অন্যের যাতায়াতের পথে বাধা সৃষ্টি করেন অথবা অন্য কোনও ব্যক্তির বিপদ, বাধা বা আঘাতের কারণ হন, তা হলে শাস্তিস্বরূপ তাঁকে জরিমানা দিতে হবে। যা সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত হতে পারে। সেই ধারাতেই এফআইআর দায়ের হল দিল্লির ওই হকারের বিরুদ্ধে।
Delhi: First case under new penal code Bharatiya Nyaya Sanhita lodged against street vendor
Read @ANI Story | https://t.co/vBfTIHPfht#NewCriminalLaw #BharatiyaNyayaSanhita #StreetVendor pic.twitter.com/zE6wjpjnKb
— ANI Digital (@ani_digital) July 1, 2024
‘ইন্ডিয়ান পেনাল কোড’ (ভারতীয় দণ্ডবিধি)-এর পরিবর্তে ‘ভারতীয় ন্যায় সংহিতা’, ১৮৯৮ সালের ‘ক্রিমিনাল প্রসিডিওর অ্যাক্ট’ (ফৌজদারি বিধি)-এর পরিবর্তে ‘ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা’ এবং ১৮৭২ সালের ‘ইন্ডিয়ান এভিডেন্স অ্যাক্ট’ (ভারতীয় সাক্ষ্য আইন)-এর বদলে ‘ভারতীয় সাক্ষ্য অধিনিয়ম’— এই তিনটি নতুন অপরাধমূলক আইন কার্যকর হয়েছে সোমবার থেকে। তবে নতুন আইনে কী কী অপরাধ এবং তার শাস্তি হিসাবে কী বলা হয়েছে, তা নিয়ে ধন্দে আছেন অনেকেই। নতুন তিন আইনের বিরুদ্ধে একাধিক আপত্তি তুলে ধরেছে বিরোধী দলগুলিও।
কেন্দ্রে নতুন সরকার গঠনের পর যে তিন নয়া আইন লাগু হবে, তা জানাই ছিল। যদিও ভোটের পর বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে (Narendra Modi) চিঠি লিখে এখনই এই আইন কার্যকর না করার আবেদন জানিয়েছিলেন। তাতেও লাভ হয়নি। পূর্বঘোষণা মতোই ১ জুলাই থেকে তা লাগু হয়ে গেল।