দুপুর গড়ানোর আগেই জল্পনায় যবনিকা পড়ে গেল (Bihar Political Crisis)। বিহারে বিজেপির সঙ্গে জোট ভেঙে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। রাজভবনে গিয়ে উপচারিকতা করার আগেই রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিলেন জনতা দল ইউনাইটেডের (JDU) প্রধান।
মঙ্গলবার দলীয় সাংসদ এবং বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন নীতীশ। সেখানেই সিদ্ধান্ত হয়, বিজেপির সঙ্গে জোট ভেঙে বেরিয়ে আসবে জেডিইউ। এটা ঘটনা, বেশ কয়েকদিন ধরেই বিজেপি বিরোধী মন্তব্য করছিলেন নীতীশ। তখনই বোঝা যাচ্ছিল বিজেপি–জেডিইউ জোট ভাঙতে চলেছে। অবশেষে সেটাই হল। বিহারে ২০১৭ সালে জোট বেঁধেছিল বিজেপি–জেডিইউ। ২০২২ সালের ৯ আগস্ট তা ভেঙে গেল। এদিন দলীয় বৈঠকের পরে জেডিইউ সাংসদ এবং বিধায়করা জানিয়ে দিয়েছেন, নীতীশ যাই সিদ্ধান্ত নিন, দলের সমর্থন রয়েছে তাঁর পাশে।
রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার আগেই নীতীশের বাড়ির সামনে নিরাপত্তা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।এদিকে, বিকেল ৪টেয় বিহারের রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য সময় চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। এর আগে, মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টায় সাক্ষাতের জন্য সময় চেয়েছিলেন তিনি।তার আগে এখন চললেন রাবড়ি দেবীর বাসভবনে। লালুপ্রসাদ যাদবের পাটনার বাড়িতে কার্যত উৎসব শুরু হয়ে গিয়েছে।
সূত্রের খবর, রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার সময়ে নীতীশের সঙ্গে থাকবেন আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব। সূত্রের আরও খবর, বিহার মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দেবেন ১৬ জন বিজেপি মন্ত্রী। উপমুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন তেজস্বী যাদব। এদিকে, দলীয় বিধায়ক ও সাংসদদের সঙ্গে নীতীশের বৈঠকের আগেই তাঁকে স্বাগত জানিয়েছিল কংগ্রেস। আলাদা করে বৈঠক করেছিলেন আরজেডি, কংগ্রেস এবং বিহারের বাম বিধায়করা। কংগ্রেস, আরজেডি এবং বাম বিধায়কদের তরফে নীতীশকে সমর্থন করা হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এমন একটা সময়ে গোটা ঘটনাটা ঘটল যা দেখে অনেকেই বলছেন, মহারাষ্ট্রের বদলা হল বিহারে। এদিনই আবার মহারাষ্ট্রে মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ সেরেছেন একনাথ শিন্ডে এবং দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। সরকার গড়ার ৪০ দিনের মাথায় মন্ত্রিসভা গড়লেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: Ration Card: রেশন কার্ড রেজিস্ট্রেশনের নয়া নিয়ম চালু, জানুন নয়া নিয়ম