লোকসভা নির্বাচনের চার দিন আগে ইস্তেহার প্রকাশ বিজেপির। প্রত্যাশামতোই বিজেপির (BJP) ইস্তেহার এবারও মোদীময়। গেরুয়া শিবিরের ‘সংকল্পপত্রে’র শীর্ষকই এবার দেওয়া হয়েছে ‘মোদী কি গ্যারান্টি।’
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছেন তিনি ভোটের বাজারে ‘রেওড়ি’ সংস্কৃতির বিরোধী। এমনকী এই নিয়ে বিরোধীদের তোপও দেগেছেন বার বার। অথচ বিজেপির ইস্তেহারে সেই রেওড়ি সংস্কৃতিরই প্রতিফলন ছত্রে ছত্রে। মোদী ঘোষণা করলেন-
- মোদী সরকার ৮০ কোটি মানুষকে বিনামূল্যে রেশন দিচ্ছে। আরও পাঁচ বছর বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার প্রকল্প চলবে।
- আগামী পাঁচ বছর মনরেগা (MGNREGA) প্রকল্পের সুবিধা ১০ কোটি কৃষকও।
- ৫ কোটি আবাস যোজনার বাড়ি ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে, আরও ৩ কোটি বাড়ি তৈরি হবে।
- আয়ুষ্মান ভারতে ৫ লক্ষ টাকা করে বিমা চলবে। সত্তরোর্ধ সব নাগরিককে এর আওতায় আনা হবে।
- ইতিমধ্যেই দেশে ১ কোটি লাখপতি দিদি তৈরি হয়েছে। আরও ৩ কোটি লাখপতি দিদি তৈরি করা মোদী র গ্যারান্টি।
- কম পয়সায় ওষুধ পৌছতে জন ঔষধি প্রকল্প।
- মুদ্রা যোজনায় ঋণদানের পরিমাণ ১০ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০ লক্ষ করা হবে।
- যুব সমাজকে প্রশিক্ষণ দিয়ে আত্মনির্ভর করার প্রতিশ্রুতি।
- দুর্নীতিবাজদের জেলে পাঠানোর গ্যারান্টিও দিয়েছেন মোদী ।
- বিজেপি জানিয়েছে এবার পাইপ লাইনে রান্নার গ্যাস পৌঁছে যাবে বাড়ি বাড়ি। এই লক্ষ্যে কাজ করবে সরকার।
- এছাড়াও বিদ্যুৎ বিল কম করার পাশাপাশি আমজনতা যাতে বিদ্যুৎ থেকে রোজগার করতে পারে সেই লক্ষ্যে কাজ করবে সরকার।
- ক্ষমতায় এলে ইউনিফর্ম সিভিল কোড চালু করার অঙ্গীকার ভারতীয় জনতা পার্টির ইশতেহারে।
- মোদী জানিয়েছেন, এক দেশ এক নির্বাচন বাস্তবায়িত করা হবে। অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকর করা হবে।
এদিকে এই ইস্তেহার নিয়ে বিজেপিকে খোঁচা কংগ্রেসের (Congress)। বিজেপির ‘ঘোষণাপত্র’কে ‘জুমলাপত্র’ বলে কটাক্ষ হাত শিবিরের। কংগ্রেস নেত্রী সুপ্রিয়া শ্রীনাতে বিজেপিকে খোঁচা মেরে বলছেন, ”বিজেপির ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিটের সাংবাদিক সম্মেলনে সাংবাদিকদের থেকে কোনও প্রশ্নই নেওয়া হয়নি। এটা ‘ঘোষণাপত্র’ নয়, এটা ‘জুমলাপত্র’।
বিজেপির ইস্তেহারকে খোঁচা দিয়েছেন রাহুল গান্ধীও। তিনি এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘বিজেপির ইস্তেহার ও নরেন্দ্র মোদীর ভাষণে দুটি শব্দ অনুপস্থিত- মুদ্রাস্ফীতি ও বেকারত্ব। মানুষের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলো নিয়ে বিজেপি আলোচনাও করতে চায় না। ইন্ডিয়া জোটের পরিকল্পনা পরিষ্কার। প্রতিটি শিক্ষিত যুবকে চাকরি দেওয়া। তাঁদের জন্য ৩০ লক্ষ পদে নিয়োগ ও ১ লক্ষ স্থায়ী পদ সৃষ্টি করা। এবার আর যুব সম্প্রদায় মোদির দিকে ঝুঁকতে রাজি নয়। এবার তারা কংগ্রেসের হাত মজবুত করবে দেশের কর্মক্ষেত্রে বিপ্লব আনবে।’ কেন কৃষকদের এমএসপি নিয়ে কোনও কথা বিজেপির ইস্তেহারে নেই, সেপ্রশ্নও তুলেছে কংগ্রেস।
भाजपा के मेनिफेस्टो और नरेंद्र मोदी के भाषण से दो शब्द गायब हैं – महंगाई और बेरोज़गारी।
लोगों के जीवन से जुड़े सबसे अहम मुद्दों पर भाजपा चर्चा तक नहीं करना चाहती।
INDIA का प्लान बिलकुल स्पष्ट है – 30 लाख पदों पर भर्ती और हर शिक्षित युवा को 1 लाख की पक्की नौकरी।
युवा इस बार… pic.twitter.com/l9KTrrVWbO
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) April 14, 2024