Blankets on Indian trains are washed just once in a month

Indian Railways: অবশেষে কম্বল ফিরছে ট্রেনে, ব্যবহারের আগে জেনে নিন কত দিন পরিষ্কার করা হয়

করোনা সংক্রমণ অনেকটাই কমেছে। এ বার ধাপে ধাপে দূরপাল্লার ট্রেনে ফিরছে কম্বল, চাদর, পর্দা, বালিশ। যদিও এখনই সব ট্রেনে সেই সুবিধা মিলবে না। কিন্তু যাঁরা নিয়মিত ট্রেনে যাতায়াত করেন তাঁরা জানেন কি ভারতীয় রেল কত দিন অন্তর যাত্রীদের দেওয়া কম্বল পরিষ্কার করতে পাঠায়!

এ নিয়ে প্রশ্ন ওঠে করোনা পরিস্থিতির অনেক আগেই। সেই সময়ে এক যাত্রী রেলের কাছে তথ্য জানার অধিকার আইনে জানতে চেয়েছিলেন, ট্রেনের কম্বল পরিষ্কার করার নিয়ম কী? এর জবাবে ২০১৯ সাল নাগাদ রেল জানিয়েছিল, দু’মাস অন্তর ধোপার বাড়ি যায় কম্বল। এর পিছনে কী কারণ তা-ও জানানো হয়েছিল রেলের তরফে। বলা হয়, কম্বলগুলি নিয়মিত কাচা হলে তা নষ্ট হয়ে যাবে। যে উপাদান দিয়ে কম্বল তৈরি হয় তাতে এক একটি কম্বল সর্বোচ্চ ৫০ বার কাচা যায়। তাই বার বার তা পরিষ্কার করা সম্ভব নয়।

রেল এই তথ্য জানানোর পরে অনেক বিতর্কও তৈরি হয়। অনেক যাত্রী এ নিয়ে সরব হন সোশ্যাল মিডিয়ায়। এর পরে রেল নিয়ম বদলায়। করোনা পরিস্থিতির আগে পর্যন্ত রেল মাসে এক বার করে কম্বল পরিষ্কারের নিয়ম চালু করে। এখনও পর্যন্ত সেই পদ্ধতিই চলছে।

অন্যদিকে, এখনই সব ট্রেনে মিলবে না বেডরোল, জানিয়ে দিল রেল ।জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন পর্দা-কম্বল-বালিশ-চাদর ব্যবহার হয়নি। সেগুলি নির্দিষ্ট স্থানে স্তুপ করে করে রাখা আছে। সেখান থেকে বেছে বেছে সেগুলি বার করতে হচ্ছে। এরপর সেগুলি ধোয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। নতুন বালিশ-চাদরও কিনতে হচ্ছে। পুরো প্রক্রিয়াটায় সময় লাগছে।  তাই আপাতত প্রথম শ্রেণীর কামরাতেই সরবরাহ করতে পারবে রেল। বাকিগুলোর জন্য আরও কয়েক সপ্তাহ সময় চাইছেন রেলকর্মীরা। এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে রাজধানী, দুরন্ত এক্সপ্রেসের মতো ট্রেনগুলিতে কম্বল-বালিশ ফিরতে পারে।

এক রেল আধিকারিক বলেন, ‘‘সরকারি নির্দেশের ভিত্তিতে খাতায়-কলমে কম্বল-বালিশ ফিরলেও বাস্তবে তাদের ফেরানোর উপযোগী করতে ব্যাপক ঘাম ঝরাতে হচ্ছে রেলকে।’’ অনেক যাত্রীর প্রশ্ন, আগেভাগে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি ছাড়া শয্যাসামগ্রী ফেরানোর নির্দেশ জারি করা হল কেন? কোনও সদুত্তর নেই রেলের কাছে।