ভারত সফরে এসেই গান্ধীজিকে স্মরণ করলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী (British Prime Minister)। দেশে পা রেখেই গুজরাটে সবরমতি আশ্রমে পৌঁছলেন বরিস জনসন (Boris Johnson)। সেখানে চরকায় সুতো কাটাও শিখলেন মনোযোগ সহকারে। একইসঙ্গে বরিস জনসনের থেকে মিলল ভারতীয় নাগরিকদের আরও ভিসা দেওয়ার ইঙ্গিতও।
দুই দিনের সফরে ভারতে এসেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। ভারত সফরের প্রথম দিনে গুজরাতে এসেছেন বরিস।আজ সকালে আহমেদাবাদে এসে পৌঁছান। তাঁকে সেখানে স্বাগত জানান গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল এবং রাজ্যপাল আচার্য দেবব্রত। তাঁকে স্বাগত জানাতে রাজ্যের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও মন্ত্রীরাও উপস্থিত ছিলেন। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে বিমানবন্দরে ঐতিহ্যবাহী গুজরাতি নৃত্য ও সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। এরপর বিমানবন্দর থেকে শহরের একটি হোটেলে যান তিনি। যাওয়ার পথে চার কিলোমিটার পথের দুই ধারে তাঁকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন অনেক মানুষ। সেখানেও রাস্তার ধারে ৪০ মঞ্চ করে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: Hanuman Jayanti 2022: গুজরাতে ১০৮ ফুটের হনুমান মূর্তি উন্মোচন মোদীর, আগামীদিনে বাংলাতে গড়ার ইঙ্গিত
#WATCH | Prime Minister of the United Kingdom Boris Johnson visits Sabarmati Ashram, tries his hands on 'charkha' pic.twitter.com/6RTCpyce3k
— ANI (@ANI) April 21, 2022
এদিন সবরমতি আশ্রমে ভিসিটরস বুকে তিনি লেখেন, ‘এই অসাধারণ মানুষটির আশ্রমে আসা একটা বিশাল বড় সৌভাগ্যের বিষয়। পাশাপাশি তিনি কীভাবে বিশ্বকে উন্নত করার জন্য সত্য ও অহিংসার এত সহজ নীতিগুলিকে সংগঠিত করেছিলেন তা বুঝতে পারার জন্য এই আশ্রমে আসা উচিত।’
জানা গিয়েছে, সবরমতি আশ্রমের পক্ষ থেকে বরিসের হাতে তুলে দেওয়া হবে বিশেষ উপহার। গান্ধীজির খেলা প্রথম দু’টি বইয়ের মধ্যে একটি বই দেওয়া হবে বরিস জনসনকে। যে বইটি কখনও প্রকাশিতই হয়নি। বইটি মূলত তৎকালীন ব্রিটিশ অ্যাডমিরালের কন্যা মেডেলেইন স্লেইনের বায়োগ্রাফি। যিনি গান্ধীজির সংস্পর্শে এসে মীরাবাঈ নাম নিয়েছিলেন। আজীবন গান্ধীজির শিষ্যা হিসেবেই রয়ে যান সবরমতি আশ্রমে।