Bride called off her wedding when groom failed to count rs

Bride : টাকা গুনতে ফেল হবু বর, মন্ডপেই মালা ছিঁড়ে বিয়ে ভাঙল পাত্রী

পাত্রটি অঙ্কে কাঁচা। তবে নাকি লোক ভালো। অনেকদিন ধরে বিয়ে হচ্ছে না। বহু দেখাদেখি হয়েছে। বহু খোঁজাখুঁজির পর এক পাত্রীর সন্ধান পায় প্রবরে লোকজন । পছন্দ হয় পাত্রী। ঠিক হয় বিয়ের দিন তারিখও । খুশি খুশি মুখে বিয়ে করতে হাজির হন পাত্র।

পাত্র সাজুগুজু করে হাজির । মণ্ডপে পাত্রী তাঁর হবু বরের হাতে ১০ টাকার ৩০টা নোট দিয়ে তাঁকে গুনতে বলে। ব্যস। সব গোল-মাল। পাত্র ৩০টি নোট গুনতে গিয়ে দরদর করে ঘামছে। যে ছেলে টাকার নোট গুনতে পারে না, তার সঙ্গে যে ঘর-সংসার করা যায় না, সেটা বুঝতে বিন্দুমাত্র দেরি হয়নি। পাত্রী বিয়ের মণ্ডপ ছেড়ে চলে যায়। পরিবার জানায়, এমন অযোগ্য পাত্রের হাতে মেয়েকে দেবে না। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের ফারুকাবাদে।

পাত্রীপক্ষের এ হেন আচরণে বেজায় চটেছে পাত্রের পরিবার। অন্যদিকে পাত্রীর পরিবার বলে, বিয়ে হয় বিশ্বাসের ওপর। ছেলের বাড়ির লোক আমাদের কাছে ওর বহু প্রশংসা করে। গুনের কথা জানায়। সেই কথায় বিশ্বাস করে ব্যবস্থা। শেষে দেখা গেল সে টাকাই গুনতে পারে না।

কনের ভাই মোহিত বলেন, “বিয়ে সাধারণত ভালো বিশ্বাসে হয় এবং মধ্যস্থতাকারী একজন ঘনিষ্ঠ আত্মীয় ছিলেন, তাই আমরা তাকে বিশ্বাস করেছিলাম এবং লোকটির সঙ্গে দেখা করিনি। যখন পুরোহিত তার অদ্ভুত আচরণ সম্পর্কে আমাদের জানান, আমরা একটি পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম এবং তাকে গণনা করার জন্য 10 টাকার 30টি নোট দিয়েছিলাম । এই টাকাও সে গুনতে  পারেনি। তার অবস্থা জানার পর আমার বোন রিতা তাকে বিয়ে করতে রাজি হয়নি।

একথা শুনে অনেকেই বলেছেন, হয়তো পাত্র নার্ভাস হয়ে পড়েছিল। কেউ কেউ বলেছে এমন পাত্রকে বিয়ে করলে তো পাত্রীরই সুবিধা হত। সব টাকা পয়সায় তো নিজের কব্জায় রাখা যেত। সংসারের মূল অশান্তি টাকা পয়সা নিয়েই। এক্ষেত্রে তা হত না।