সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার উপর আক্রমণের প্রতিবাদে মঙ্গলবার দিল্লিতে বিক্ষোভ দেখাল সিপিআই(এম), সিপিআই(এম-এল), সিপিআই, ফরোয়ার্ড ব্লক সহ বামপন্থী দলগুলি। সভায় সিপিআই(এম)’র পলিটব্যুরো সদস্য বৃন্দা কারাত বলেন, যদি কারোর উপর ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০(বি) ধারায় মামলা দায়ের করতে হয়, তাহলে সেটা বিজেপি-আরএসএস সরকারের বিরুদ্ধে করা উচিত।
বৃন্দা বলেন, আজকে দিল্লিতে বামপন্থী দলগুলি সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। এই সভা থেকে নিউজপোর্টালের উপর হওয়া অগণতান্ত্রিক, স্বৈরাচারী হামলার তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে। আমরা খুশি, যে সরকারী দমনপীড়নের পরেও নিউজক্লিকের সমর্থনে সারা দেশ থেকে বার্তা আসছে। আরএসএস পরিচালিত বিজেপি চেষ্টা করছে, নিউজক্লিকের সঙ্গে চীনের সংযোগ প্রমাণ করতে। এই অভিযোগ সম্পূ্ণ মিথ্যা। গোটাটা করা হচ্ছে উগ্র জাতীয়তাবাদী ভাষ্য নির্মাণের জন্য।
এই অপপ্রচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিচ্ছে আরএসএস’র মুখপত্র ‘দি অর্গানাইজার’। বুধবার ‘দি অর্গানাইজারের’ প্রথম পাতার প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, ‘‘নিউজ ক্লিক ইস্যু তৈরি হয়েছে সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা (প্রেস ফ্রিডম) সংক্রান্ত নয়, বরং সংবাদ মাধ্যমের দেশদ্রোহীতাকে ঘিরে (প্রেস ট্রিজন)। যদিও সেই চক্রান্ত ব্যর্থ হয়েছে। সাংবাদিকদের বড় অংশ আরএসএস’র এই মিথ্যা ভাষ্যের বিরোধীতা করেছেন।
৩ অক্টোবর পুরকায়স্থ ও চক্রবর্তীকে গ্রেফতার করা হয় এবং নিউজক্লিক অফিস সিল করে দেওয়া হয়েছে। এফআইআর অনুসারে, “ভারতের সার্বভৌমত্বকে ব্যাহত করতে” এবং দেশের বিরুদ্ধে অসন্তোষ সৃষ্টি করতে চিন থেকে নিউজ পোর্টালে প্রচুর পরিমাণে তহবিল এসেছিল। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের সময় নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে ভুণ্ডুল করতে পিপলস অ্যালায়েন্স ফর ডেমোক্রেসি অ্যান্ড সেক্যুলারিজম (PADS)-এর সঙ্গে হাত মিলিয়েছিল নিউজক্লিক সামনে এসেছে এমন অভিযোগও।