রাজ্য রাজনীতির উত্তাপের আঁচ এবার সংসদে। গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ এবং বিরোধী সাংসদদের মাইক বন্ধ করে রাখার প্রতিবাদে মুখে কালো কাপড় জড়িয়ে সংসদের দুই কক্ষেই অভিনব প্রতিবাদ করল তৃণমূল। পালটা তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তুলে বিক্ষোভ দেখালেন রাজ্যের বিজেপি (BJP) সাংসদরাও। নিয়োগ দুর্নীতিকে হাতিয়ার করে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা।
তৃণমূলের (TMC) অভিযোগ, সরকার পক্ষ সংসদে বিরোধীদের বলতে দিচ্ছে না। তৃণমূলের সংসদীয় দলের নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে মহুয়া মৈত্রদের অভিযোগ, সংসদে তাঁরা মানুষের ইস্যু তুলে ধরার চেষ্টা করলেও সেই সুযোগ তাঁদের দেওয়া হচ্ছে না। শুধু সরকার পক্ষকে বলতে দেওয়া হচ্ছে। বিরোধীরা বলতে গেলে তাদের মাইক বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে, নাহয় অধিবেশন মুলতুবি করে দেওয়া হচ্ছে। গণতন্ত্রের উপর আক্রমণের অভিযোগ তুলে এদিন রাজ্যসভা এবং লোকসভা দুই কক্ষেই অভিনব প্রতিবাদ করেন তৃণমূল সাংসদরা। মুখে কালো কাপড় জড়িয়ে ট্রেজারি বেঞ্চের দিকে আঙুল তুলতে দেখা যায় তাঁদের।
আরও পড়ুন: Karnataka : ঘুষ কাণ্ড ! বিজেপি বিধায়কের দেওয়া শাড়ি পুড়িয়ে প্রতিবাদ কর্ণাটকে
ব্রিটেন থেকে ফেরার পর আজই প্রথম সংসদের বাজেট অধিবেশনে যোগ দেবেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। তাঁর মন্তব্য় ঘিরে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, তা নিয়ে আজ সংসদে মুখ খুলতে পারেন তিনি। সংসদে এসেই রাহুল গান্ধীকে আক্রমণ করলেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরণ রিজিজু। এদিন তিনি বলেন, “কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বিদেশের মাটিতে ভারতের অবমাননা করেছেন। তাঁকে ক্ষমা চাইতেই হবে।”
এর পরেই আদানি ইস্যুতে ফের উত্তাল হয় সংসদ। বিরোধীদের বিক্ষোভের জেরে লোকসভার পাশাপাশি মুলতুবি হয়ে যায় রাজ্যসভাও। যদিও তার আগেই অভিনব প্রতিবাদ করে তৃণমূল।
বসে নেই বঙ্গ বিজেপির সাংসদরাও। তৃণমূলের বিক্ষোভের পালটা কর্মসূচি নিয়েছে তাঁরাও। রাজ্যের নিয়োগ দুর্নীতিকে গোটা দেশের সামনে তুলে ধরার লক্ষ্যে এদিন গান্ধী মূর্তির পাদদেশে বিক্ষোভ দেখান বঙ্গ বিজেপির গুটিকয়েক সাংসদও। হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভে শামিল হন সুকান্ত মজুমদার, সৌমিত্র খাঁ, লকেট চট্টোপাধ্যায়রা (Locket Chatterjee)। বিজেপি সাংসদদের বক্তব্য, মমতা বাংলার গর্ব নন, বরং বাংলার লজ্জা।
আরও পড়ুন: Lord Krishna : বৃন্দাবনে শ্রীকৃষ্ণকে কোলে নিয়ে সাত পাক ঘুরলেন আইনের ছাত্রী