লাদাখে টুরটুক সেক্টরের (Ladakh’s Turtuk sector) কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে সেনাবাহিনীর একটি গাড়ি। জানা গিয়েছে, পাহাড়ি রাস্তা থেকে সোজা শায়ক নদীতে পড়ে যায় গাড়িটি। এই দুর্ঘটনার জেরে সাত জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন প্রায় ১৯ জন। এই দুর্ঘটনার পরই উদ্ধারকাজ শুরু করে বায়ু সেনা (Indian Air Force)। মৃত জওয়ানদের মধ্যে রয়েছেন রাজ্যের একজনও। পশ্চিম মেদিনীপুরের (West Midnapore) খড়্গপুর টাউন থানার অন্তর্গত বারবেটিয়া এলাকার বাসিন্দা ছিলেন জওয়ান বাপ্পা খুটিয়া। শুক্রবার তাঁর মৃত্যুর খবর পৌঁছায় বাড়িতে। আর এই খবর জানতে পারার পরই শোকের ছায়া নেমে যায় গোটা এলাকায়।
ছুটি কাটিয়ে গত ২৭ এপ্রিল সেনাবাহিনীতে ফিরে গিয়েছিলেন বাপ্পা। সম্প্রতি গুজরাট থেকে সিয়াচেনে পোস্টিং হয় তাঁর।শুক্রবার সেনা জওয়ানদের নিয়ে সিয়াচেনে যাওয়ার পথেই নুবরায় প্রায় ৮০ থেকে ৯০ ফুট গভীর খাদে পড়ে যায় একটি ছোট বাস৷ যে ঘটনায় প্রাণ হারান ৭ জন সেনা জওয়ান৷ আহতের সংখ্যা ১৯৷
আরও পড়ুন: GTA: জিটিএ নির্বাচন ২৬ জুন, গণনা ২৯ জুন, শুক্রবার থেকেই শুরু মনোনয়ন
তাঁর মৃত্যুর খবর পেতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। তাঁর ১১ মাসের এক কন্যা সন্তানও রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। দেড় মাস পরেই আবার বাড়ি যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু, তা আর হল না। বাড়ি ফিরলেন তার অনেক আগেই, তবে কফিনবন্দি হয়ে। স্বামীর মৃত্যুর খবর পেয়ে শোকে ভেঙে পড়েছেন তাঁর স্ত্রী।
ছেলের মৃত্যুতে বাবা সুকুমার খুটিয়া বলেন, ‘ছেলে দেশের কাজ করতে গিয়ে প্রাণ দিয়েছে। উর্দি পরে মৃত্যুবরণ করেছে সে। আমার গর্ব হচ্ছে। আমি ওকে প্যারেড শিখিয়েছিলাম। ২ বার সেনাবাহিনীতে সুযোগ পায় ও। কিন্তু ওর মা ওকে প্রথমবার যেতে দেয়নি। অন্য যে জওয়ান ও আধিকারিকরা শহিদ হয়েছেন। তাঁদের পরিবারের প্রতিও সমবেদনা জানাই। তাঁরা যেন ভেঙে না পরেন।’
জানা গিয়েছে, রবিবার রাতেই বাপ্পার দেহ তাঁর খড়্গপুরের বাড়িতে এসে পৌঁছবে৷ বাপ্পার দিদি-জামাইবাবু এই মুহূর্তে উত্তর ভারতে রয়েছেন৷ তাঁরাই সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করে দিল্লির দিকে রওনা দিয়েছেন৷ শহরের ছেলে বাপ্পাকে শেষ বিদায় জানাতে তৈরি হচ্ছে খড়্গপুর৷
আরও পড়ুন: Elephant Child death: মৃত শাবককে শুঁড়ে তুলে ৮ কিমি হাঁটল মা হাতি, চোখে জল প্রত্যক্ষদর্শীদের