বিরোধীরা ৫, বিজেপি ০। গোটা দেশের ৫ কেন্দ্রের উপনির্বাচনের ফলাফল গেরুয়া শিবিরকে বেশ ভালমতোই ধাক্কা দিল। ৪ বিধানসভা এবং ১টি লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে খাতা পর্যন্ত খুলতে পারল না বিজেপি বা তাদের জোটসঙ্গীরা।
বিহারে ২০২০ সালের বিধানসভা ভোটে বোচাহাঁ কেন্দ্রে এনডিএ জোটের ‘বিকাশশীল ইনসান পার্টি’ (ভিআইপি)-র প্রার্থী মুশাফির পাসোয়ান জয়ী হয়েছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে শূন্য হওয়া আসনটি এ বার ভিআইপি-কে ছাড়েনি বিজেপি। ফলে দু’দল আলাদা ভাবে লড়ে। ফল বলছে, সেখানে প্রায় সাড়ে ৪৮ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন প্রধান বিরোধী দল আরজেডি-র প্রার্থী। বিজেপি প্রায় ২৭ শতাংশ এবং ভিআইপি প্রায় ১৭ শতাংশ ভোট পেয়েছে।
ছত্তীসগঢ়ের খৈরাগঢ় আসনে ২০১৮-র বিধানসভা ভোটে জিতেছিল প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অজিত যোগীর দল জনতা কংগ্রেস ছত্তীসগঢ়। দ্বিতীয় স্থানে ছিল বিজেপি। এ বারও ত্রিমুখী লড়াইয়ে দ্বিতীয় হয়েছে পদ্ম-শিবির। সেখানে জয়ী হয়েছেন কংগ্রেসের প্রার্থী। কংগ্রেস প্রায় সাড়ে ৫৩ শতাংশ এবং বিজেপি ৪০ শতাংশ ভোট পেয়েছে সেখানে।
আরও পড়ুন: এবার কার্ড ছাড়াই ব্যাঙ্ক ও ATM থেকে তোলা যাবে টাকা! কী কী সুবিধা মিলবে? জানুন
মহারাষ্ট্রের কোলহাপুর (উত্তর) বিধানসভা কেন্দ্রটি এ বার ভোট বাড়িয়ে পুনর্দখল করেছে কংগ্রেস। ২০১৯-এর বিধানসভা ভোটে সেখানে ৫১ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে জিতেছিলেন কংগ্রেসের চন্দ্রকান্ত পাটিল যাদব। তাঁর মৃত্যুতে খালি হওয়া আসনে এ বার চন্দ্রকান্তের স্ত্রী জয়শ্রীকে প্রার্থী করেছিল কংগ্রেস। ৫৪ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে জিততে চলেছেন তিনি। প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি প্রার্থী পেয়েছেন প্রায় ৪৩ শতাংশ ভোট।
বাংলার দুই কেন্দ্র আসানসোল (Assansol) এবং বালিগঞ্জে তৃণমূলের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি বিজেপি প্রার্থীরা। বালিগঞ্জে বিজেপি (BJP) প্রার্থী কেয়া ঘোষ বামেদের থেকেও অনেক পিছিয়ে পড়ে তৃতীয় হয়েছেন। আসানসোলে বিজেপি প্রার্থী দ্বিতীয় স্থান কোনওক্রমে ধরে রাখলেও ভোটের ব্যবধান বিরাট। অথচ, এই আসানসোল কেন্দ্রটিতে ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনেও বিরাট ব্যবধানে জিতেছিলেন তৎকালীন বিজেপি প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo)। ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের পর রাজ্যে বিজেপির যে অধোগতি শুরু হয়েছে তা কমবেশি এই নির্বাচনেও বজায় রইল।
আরও পড়ুন: স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা হতে চায়, জেল থেকে স্বামীকে ১৫ দিনের ‘প্যারোল’ আদালতের