CAA News Updates: Government notifies CAA

CAA: দেশজুড়ে কার্যকর হল সিএএ, বিজ্ঞপ্তি জারি করে দিল কেন্দ্র

লোকসভা ভোটের আগে গোটা দেশে চালু হয়ে গেল সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (CAA)। একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে সিএএ চালু হওয়ার কথা জানিয়ে দিল কেন্দ্রীয় সরকার। বিল পাশ হওয়ার পর চার বছর পর চালু হল হল সিএএ।

কী রয়েছে সিএএ আইনে? ওই আইনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তানে মতো দেশগুলি থেকে মুসলিম ছাড়া অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা যারা ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভারতে এসেছেন তারা এদেশের নাগরিকত্ব পাবেন। আজ প্রকাশ করা হচ্ছে সেই আইনের বিধি।

২০১৪ সালের পর নরেন্দ্র মোদী সরকারের তরফে সিএএ নিয়ে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ২০১৯ সালের আগে সেই নিয়ে পদক্ষেপ হয়নি। ওই বছরই ডিসেম্বর মাসে সিএএ সংক্রান্ত বিল পাস হওয়া মাত্র রাষ্ট্রপতি তাতে সম্মতি দেন। তবে দেশজুড়ে এই ইস্যুতে প্রবল বিক্ষোভ শুরু হওয়ায় কার্যত চাপে পড়ে কেন্দ্রীয় সরকার সেই আইনটি কার্যকর করেনি।

আইনটি পাস হওয়ার পরপরই দেশের বিভিন্ন জায়গায় এনিয়ে আন্দোলন শুরু হয়। দিল্লির শাহিনবাগে এনিয়ে টানা আন্দোলন চলে। সিএএ নিয়ে বাংলা, অসম ও ত্রিপুরার মতো রাজ্য মাথাব্যথার কারণ হতে পারে। দেশভাগের পর থেকেই ওই তিন রাজ্য প্রতিবেশী দেশ থেকে মানুষ এসে আশ্রয় নিয়েছেন। তাদের অনেকেই এখনও তাদের নাগরিকত্ব নিয়ে সন্ধিহান। অথচ তারা ভোট দিয়েছেন তাদের ভোটার কার্ড রয়েছে, আধার রয়েছে, রেশন কার্ড-সহ অন্যান্য নথিপত্র রয়েছে। তারাও আতঙ্কে রয়েছেন। সম্প্রতি বর্ধমান, নদিয়া-সহ একাধিক জেলায় বহু মানুষের আধার বাতিল হয়ে গিয়েছিল। বহু বাকবিতন্ডার পর কেন্দ্র আশ্বাস দিয়েছে যে তাদের আধার বাতিল হবে না। কিন্তু দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সমস্যা অন্য জায়গায়। ধর্মে হিন্দু কারও নাগরিকত্ব বাতিল হলে তার জন্য রয়েছে সিএএ। কিন্তু সংখ্যালঘুদের জন্য কী আছে? এরকম প্রশ্ন উঠছে। সূত্রের খবর, একটি অ্যাপ আনা হবে। যারা কাছে যে নথি আছে তা ওই অ্যাপে আপলোড করতে হবে। আর যার কাছে কোনও নথি নেই তিনি স্বঘোষিত তথ্য দেবন। তারই ভিত্তিতে কোনও একজনকে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।