আইন পাস হওয়ার চার বছর পর দেশ জুড়ে কার্যকর হল সিএএ (CAA) বা নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন। সোমবার বিকেলে ওই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে সিএএ-এর জন্য আলাদা ওয়েব পোর্টাল তৈরি করা হবে। ইঅনলাইনে আবেদন করতে হবে সেখানে।
কারা ভারতীয় নাগরিক?
১৯৫০-এর ২৬ জানুয়ারি থেকে ১৯৮৭-র ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত যাঁদের জন্ম হয়েছে, তাঁরা জন্মসূত্রেই ভারতীয় নাগরিক। এ ক্ষেত্রে তাঁদের বাবা-মায়ের নাগরিকত্ব কী, তা দেখা হয় না। আবার ১৯৮৭ থেকে ২০০৪ সালের মধ্যে যাঁদের জন্ম, তাঁদের জন্মের সময় বাবা-মায়ের নাগরিকত্ব ভারতীয় হলে তবেই তাঁরা ভারতীয় হিসেবে চিহ্নিত হবেন। আর ২০০৪-এর পর যাঁরা জন্মেছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে দেখা হবে, হয় বাবা-মাকে ভারতীয় নাগরিক হতে হবে অথবা যে কোনও একজন ভারতীয় ও অপরজন অবৈধ অনুপ্রবেশকারী নন।
সরকারি ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, যাঁরা আবেদন করতে চান, তাঁদের জন্য রয়েছে আলাদা আলাদা ফর্ম। যেমন, শিশুদের ক্ষেত্রে আলাদা ফর্ম, অন্য দেশ থেকে এসে আবেদন করলে আলাদা ফর্ম। আবার বাব বা মা, কেউ ভারতীয় বলে যাঁরা নাগরিকত্বের দাবি জানাতে চান তাঁদের জন্য পৃথক আবেদনের প্রক্রিয়া। এমন সাত রকমের ফর্ম রয়েছে।
ভারতে আবেদন করার জন্য কী কী লাগবে?
বিভিন্ন ফর্মের জন্য বিভিন্ন রকমের নথি প্রয়োজন হবে। নথিগুলি হল-
১. বৈধ বিদেশি পাসপোর্ট।
২. বাসস্থানের পারমিট।
৩. বাবা-মায়ের জন্ম শংসাপত্র অথবা তাঁদের ভারতীয় পাসপোর্ট।
৪. ৫০০ টাকার একটি ব্যাঙ্ক চালান, যা স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ায় জমা করতে হবে।
৫. আবেদনকারীর স্বামী বা স্ত্রীর ভারতীয় পাসপোর্ট বা বার্থ সার্টিফিকেট।
৬. বিয়ের শংসাপত্র বা ম্যারেজ সার্টিফিকেট।
৭. ভারতে বসবাসকারী বিদেশি নাগরিক হিসেবে রেজিস্ট্রেশনের সার্টিফিকেট থাকতে হবে। (ভিনদেশ থেকে এলে)
৮. ভারতে ব্যবহৃত যে কোনও একটি ভাষা সম্পর্কে কতটা জ্ঞান রয়েছে, তার প্রমাণ হিসেবে কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শংসাপত্র থাকতে হবে, অথবা আবেদনকারীর জেলায় বসবাসকারী দুজনকে মান্যতা দিতে হবে।
৯. আবেদনকারীর চরিত্র সম্পর্কে সার্টিফিকেট দিতে হবে দুজনকে।
কোথায় আবেদন করবেন?
indiancitizenshiponline.nic.in- এই ওয়েবসাইটে গিয়ে অনলাইনে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করা যায়। এটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীন একটি প্রক্রিয়া। এছাড়া ফর্ম ফিল আপ করে ডিএম বা ডিসি অপিসে গিয়ে জমা দেওয়া যায়।