দেশের ৮০ শতাংশ মানুষেরই যাতায়াতের অন্যতম ভরসা হল ট্রেন। দূরের কোনও গন্তব্যে কম খরচে অথচ আরামে যাতায়াত করার জন্য অধিকাংশ মানুষই দূরপাল্লার ট্রেনে যাতায়াত করতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। তবে পরিকল্পনার হঠাৎ বদল বা জরুরি কোনও কাজ পড়ে যেতেই পারে। সেক্ষেত্রে টিকিট বাতিল করা ছাড়া আর কোনও উপায় থাকে না। তবে এবার থেকে বদলে যাচ্ছে টিকিট বাতিলের নিয়ম। রেলযাত্রীদের এবার থেকে ট্রেনের টিকিট বাতিল করতে হলেও গুনতে হবে অতিরিক্ত গ্যাঁটের কড়ি। কারণ এবার থেকে টিকিট বাতিলের উপরও জিএসটি বসছে।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, রেলের টিকিট কাটা একটি চুক্তি। এই চুক্তি রেলের সঙ্গে হয় সংশ্লিষ্ট যাত্রীর। তবে টিকিট বাতিলের অর্থ সেই চুক্তি ভঙ্গ করা। এদিকে টিকিট বাতিল বাবদ যে চার্জ যাত্রীকে দিতে হয়, তা একটা লেনদেন। এই আবহে সেই লেনদেনের উপর জিএসটি ধার্য করা উচিত বলে জানানো হয়েছে। রেলের তরফে জানানো হয়েছে, কোনও যাত্রী যদি কনফার্ম হয়ে যাওয়া টিকিট বাতিল করেন, তবে তাকে তার জন্য ক্যানসেলেশন ফি ছাড়াও অতিরিক্ত জিএসটি দিতে হবে। অর্থাৎ এবার থেকে ট্রেনের টিকিট বাতিল করলে, একই টিকিটের উপরে দুইবার জিএসটি দিতে হবে।
আরও পড়ুন: Supreme Court: বিলকিস গণধর্ষণে দোষীদের মুক্তি নিয়ে গুজরাত সরকারের জবাব তলব
অর্থমন্ত্রকের ট্যাক্স রিসার্চ শাখার তরফে প্রকাশিত নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, এবার থেকে ট্রেনের টিকিট ও হোটেল বুকিং বাতিলের ক্ষেত্রেও জিএসটি দিতে হবে। বর্তমানে রেলের সংরক্ষিত টিকিট কাটার ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ জিএসটি দিতে হয় যাত্রীদের। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, নিশ্চিত টিকিট বাতিলের ক্ষেত্রেও এবার থেকে ৫ শতাংশ হারে জিএসটি কাটা হবে।
জানা গিয়েছে, যাত্রীরা কোন শ্রেণিতে যাতায়াত করছেন, তার উপর নির্ভর করবে জিএসটি। টিকিট বুকিংয়ের ক্ষেত্রে যেমন যাত্রীরা কোন শ্রেণিতে যাতায়াত করছেন, তার উপর নির্ভর করে টিকিটের দাম ও জিএসটি নেওয়া হয়, একইভাবে টিকিট বাতিলের ক্ষেত্রেও সেই হারেই জিএসটি নেওয়া হবে। উদাহরণ হিসাবে বলা যায়, ট্রেনের প্রথম শ্রেণির টিকিটের ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ জিএসটি নেওয়া হয়। যদি ট্রেন ছাড়ার ৪৮ ঘণ্টা আগে প্রথম শ্রেণির টিকিট বাতিল করেন, সেক্ষেত্রে ক্যানসেলেশন চার্জ বাবদ ২৪০ টাকা নেওয়া হয়। এর উপরে এবার থেকে ৫ শতাংশ জিএসটি বসবে। অর্থাৎ ২৪০ টাকার সঙ্গে আরও ১২টাকা যোগ হবে জিএসটি বাবদ।