রাজনৈতিক দল পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (পিএফআই)-এর উপর পাঁচ বছরের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করল কেন্দ্রীয় সরকার। নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে পিএফআই-এর শরিক দলগুলির উপরেও। বুধবার একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে পিএফআই এবং এর অনুমোদন পাওয়া দলগুলিকে বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন (ইউএপিএ)-এর আওতায় নিষিদ্ধ হিসাবে ঘোষণা করেছে কেন্দ্র।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে প্রকাশিত বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়া নামক উগ্র মৌলবাদী সংগঠনের সঙ্গে স্টুডেন্টস ইসলামিক মুভমেন্ট অব ইন্ডিয়া, বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠন জামাত-উল-মুজাহিদ্দিন ও সিরিয়ার আইসিস সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের যোগ পাওয়া গিয়েছে। দেশবিরোধী কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণের সাপেক্ষেই এই সংগঠনকে নিষিদ্ধ বলে ঘোষণা করা হচ্ছে। ভারত সরকারের বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানায়, একাধিক অপরাধমূলক কাজ এবং সন্ত্রাসমূলক কাজকর্মে জড়িত আছে পিএফআই। বিদেশ থেকে অর্থ সাহায্যও পায়। যা দেশের অভ্যন্তরীণ সুরক্ষার ক্ষেত্রে বড়সড় উদ্বেগের বিষয়।
দেশ জুড়ে এক সপ্তাহ ধরে অভিযান চালিয়ে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে দলের ২৪০ জনেরও বেশি নেতা- কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার উপর ভিত্তি করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর।পিএফআই ছাড়াও অল ইন্ডিয়া ইমামস্ কাউন্সিল, ক্যাম্পাস ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া, রেহাব ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন, ন্যাশনাল উওমেন’স ফ্রন্ট, জুনিয়র ফ্রন্ট, ন্যাশনাল কনফারেন্স অফ হিউম্যান রাইটস অর্গানাইজেশন, এমপাওয়ার ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন এবং রেহাব ফাউন্ডেশন (কেরালা)-কেও কেন্দ্রের তরফে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
Apart from PFI, Govt has also banned:
– All India Imams Council
– Campus Front of India
– Rehab India Foundation
– National Conf of Human Rights Org
– National Women’s Front
– Junior Front
– Empower India Foundation
– Rehab Foundation, KeralaOpposition has so much to weep for.
— Amit Malviya (@amitmalviya) September 28, 2022
পিএফআই-সহ বাকি শরিক দলগুলিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, স্টুডেন্টস ইসলামিক মুভমেন্ট অফ ইন্ডিয়া (সিমি), জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি) এবং ইসলামিক স্টেট অফ ইরাক অ্যান্ড সিরিয়া (আইএসআইএস) এর সঙ্গেও এই দলগুলির যোগসূত্র আছে।
২২ সেপ্টেম্বর এবং ২৭ সেপ্টেম্বর জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ), এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) এবং রাজ্য পুলিস পিএফআই-এর বিরুদ্ধে অভিযান চালায়। PFI-এর আগে কোঝিকোড়ে একটি মেগা ‘সেভ দ্য রিপাবলিক’ কনভেনশনের আয়োজন করেছিল। সেই কনভেনশনের পর RSS-এর বিরুদ্ধে লাগাতার প্রচারে নেমেছিল এই সংগঠন।গত ২২ সেপ্টেম্বর কেরল, তামিলনাড়ু, কর্ণাটক, তেলাঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, অসম, দিল্লি, মধ্যপ্রদেশ, গোয়া, মহারাষ্ট্র, বাংলা, বিহার, মণিপুরে সহ বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি চলেছিল।