Centre told in Supreme Court that it will reconsider minority tag for Hindus in some states

Minority Status: ‌হিন্দুদের ‘‌সংখ্যালঘু’‌ মর্যাদা দিতে সুপ্রিম কোর্টের কাছে আরও সময় চাইল কেন্দ্র

কয়েকটি রাজ্যে হিন্দুদের ‘সংখ্যালঘু’ মর্যাদা দেওয়ার কথা পুনর্বিবেচনা করবে কেন্দ্র। যে রাজ্যগুলিতে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ তুলনামূলক কম, সেই রাজ্যগুলির সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা করা হবে। সোমবার সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে জানাল মোদী সরকার।

ভারতের যে রাজ্যগুলিতে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ তুলনামূলক কম, সেই রাজ্যগুলির সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা করা হবে। সোমবার সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে জানিয়েছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার। সোমবার শীর্ষ আদালতে কেন্দ্র জানায় ভবিষ্যতে দেশে অনিচ্ছাকৃত জটিলতা এড়ানোর জন্য সংশ্লিষ্ট বিষয়ে একটি নতুন হলফনামা দাখিল করছে তারা। এর আগে গত ২৫ মার্চ এ নিয়ে একগুচ্ছ রিট পিটিশনের বিরোধিতা করেছিল কেন্দ্র।

আরও পড়ুন: Taj Mahal: ফের তাজ নিয়ে আসরে বিজেপি, মন্দির কিনা জানতে মামলা দায়ের আদালতে

হলফনামায় বলা হয়, খ্রিস্টান, শিখ, মুসলিম, বৌদ্ধ, পার্সি এবং জৈন–এই ছয়টি সম্প্রদায়কে জাতীয় স্তরে সংখ্যালঘু হিসাবে অবহিত করা হয়। তবে যেখানে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের বসবাস কম, সেখানকার হিন্দুদের সংখ্যালঘু মর্যাদা দেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারে সংশ্লিষ্ট রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিন্দুদের একটি ধর্মীয় বা ভাষাগত সংখ্যালঘু হিসাবে অবহিত করতে পারে। যদি সেখানে হিন্দুরা সংখ্যায় কম থাকে। নতুন হলফনামায় কেন্দ্র জানিয়েছিল, সংখ্যালঘু অবহিত করার বিষয়টি কেন্দ্রের হাতে থাকলেও, এ নিয়ে রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে বিশদে আলোচনা করতে চায় তারা।

এর আগে প্রতিটি রাজ্যে জনসংখ্যার ভিত্তিতে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের শ্রেণী ভাগ করার জন্য সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়েছিলেন বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী অশ্বিনীকুমার উপাধ্যায়। ন্যাশনাল কমিশন ফর মাইনরিটি এডুকেশনাল ইনস্টিটিউশনস (এনসিএমইআই) অ্যাক্ট ২০০৪–এর ধারা ২(এফ)–এর বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মামলা হয়। ওই ধারা অনুযায়ী মুসলিম, খ্রিস্টান, শিখ, বৌদ্ধ এবং পার্সিরা সংখ্যালঘু তকমা পায় দেশে। কিন্তু মামলাকারীর দাবি, দেশের মোট ৯টি রাজ্যে হিন্দুরাও সংখ্যালঘু। আর তাই সোমবার শীর্ষ আদালতে কেন্দ্র জানিয়েছে, হিন্দুদের সংখ্যালঘু তকমা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য আরও কিছুটা সময় দরকার। তার কারণ এই সিদ্ধান্তের ‘‌সুদূরপ্রসারী’‌ প্রভাব রয়েছে।

আরও পড়ুন: Mohali Blast: পঞ্জাবের গোয়েন্দা সদরে গ্রেনেড হানা, চলছে ফরেন্সিক পরীক্ষা