চণ্ডীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের মহিলা হস্টেলের আবাসিকদের গোপন ভিডিয়ো নিয়ে যখন হইচই চলছে, তখন মাদুরাইয়ে ঠিক একই ঘটনা প্রকাশ্যে আসায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
অভিযুক্তের নাম কালীশ্বরী। তিনি মাদুরাইয়ের একটি বেসরকারি কলেজের বিএড করছেন। পুলিশ জানিয়েছে, কালীশ্বরী সমস্ত ভিডিয়ো তাঁর বন্ধু আশিককে পাঠাতেন। বছর তিনেক আগে আশিকের বিয়ে হয়েছিল। সম্প্রতি কালীশ্বরীর সঙ্গে বন্ধুত্ব হয় তাঁর। আশিকের নিজের ক্লিনিক রয়েছে।
অভিযোগ, কালীশ্বরীকে হস্টেলের আবাসিকদের গোপন ভিডিয়ো বানানোর জন্য চাপ দিতেন আশিক। কালীশ্বরী লুকিয়ে আবাসিকদের স্নান এবং পোশাক বদলানোর ছবি তুলতেন আর সেগুলি এক এক করে আশিককে পাঠাতেন।এক দিন কালীশ্বরীর গতিবিধি সম্পর্কে সন্দেহ হয় এক আবাসিকের। সেই সন্দেহবশেই কালীশ্বরীকে চেপে ধরেন তিনি। তার পরই কালীশ্বরীর মোবাইল থেকে আবাসিকদের একাধিক গোপন ভিডিয়ো এবং ছবি উদ্ধার হয়। হস্টেলের ওয়ার্ডেন কালীশ্বরীর মোবাইল নিয়ে নেন এবং পুলিশে খবর দেন।
হস্টেল থেকে অভিযোগ পেয়ে মাদুরাই পুলিশের সাইবার অপরাধদমন শাখা তদন্তে নামে। তখনই আশিকের কথা প্রকাশ্যে আসে। এর পরই আশিক এবং কালীশ্বরীকে গ্রেফতার করা হয়। এটি পাঞ্জাবের চণ্ডীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুরূপ ঘটনা একদম। ছাত্রীদের অভিযোগের পরে ছাত্রীকে গ্রেফতার করা হয়। বেশ কয়েকজন ছাত্রীর ‘ব্যক্তিগত’ এবং ‘আপত্তিকর’ ভিডিও ইন্টারনেটে ফাঁস করেছিলেন কালেশ্বরী।