ফের কুনো জাতীয় উদ্যানে মৃত্যু হল একটি চিতার (Cheetah)। আফ্রিকা থেকে আসা স্ত্রী চিতার মৃত্যু হয়েছে মঙ্গলবার। গত দেড় মাসের মধ্যে এই নিয়ে সেখানে তৃতীয় চিতার মৃত্যু হল।
মধ্যপ্রদেশ বন দফতর এবং কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ মন্ত্রকের অধীনস্থ ‘ন্যাশনাল চিতা অ্যাকশন প্ল্যান’ (জাতীয় চিতা পুনঃস্থাপন কর্মসূচি) সূত্রের খবর, মৃত মহিলা চিতাটির নাম দক্ষ। তাকে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আনা হয়েছিল। অনুমান করা হচ্ছে, ফিন্ডা নামে একটি পুরুষ চিতার আক্রমণে তার মৃত্যু হয়েছে। জানা গিয়েছে, নিজেরই পরিবারের সদস্য অপর দুই পুরুষ চিতার মধ্যে দক্ষকে নিয়ে লড়াই চলছিল। সে সময়ই গুরুতর আহত হয় দক্ষ। মাত্রাতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে খবর।
আরও পড়ুন: Kashmir: গত মাসেই হয় বিয়ে, কাশ্মীরে জঙ্গি হামলায় শহিদ বাংলার সেই সেনা জওয়ান
প্রসঙ্গত, গত ২৭ মার্চ কুনোয় মৃত্যু হয়েছিল নামিবিয়া থেকে আনা ৫ বছরের স্ত্রী চিতা শাসার। ২৪ এপ্রিল মারা যায় দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আনা পুরুষ চিতা উদয়। মধ্যপ্রদেশ বন বিভাগের চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন, কিডনিতে সংক্রমণের কারণে শাসার মৃত্যু হয়েছে। অন্য দিকে উদয়ের মৃত্যুর কারণ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছিল, ‘কার্ডিয়ো পালমোনারি ফেলিওর’-কে।
নামিবিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ইতিমধ্যেই ২০টি চিতাকে কুনোতে আনা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৪টিকে কুনো অরণ্যের প্রাকৃতিক পরিবেশে ছাড়া হয়েছে। কিন্তু গত ২ মাসে ২টি চিতার মৃত্যু হয়েছে সেখানে। মধ্যপ্রদেশের ওই অরণ্যে ৫০টি আফ্রিকার চিতা পুনর্বাসনের পরিকল্পনা রয়েছে মোদী সরকারের। কিন্তু বিশিষ্ট বন্যপ্রাণ বিজ্ঞানী তথা কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ মন্ত্রকের ‘ন্যাশনাল চিতা অ্যাকশন প্ল্যান’-এর সদ্য অপসারিত প্রধান যাদবেন্দ্রনাথ ঝালা স্পষ্ট ভাষায় তাঁর রিপোর্টে জানিয়েছিলেন, আফ্রিকা থেকে আনা ৫০টি চিতা দূর অস্ত, মধ্যপ্রদেশের কুনো-পালপুর জাতীয় উদ্যানে ২০টির ঠাঁই হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। তৃতীয় চিতার মৃত্যু সেই প্রশ্নটাই আরও জোরালো করে দিল মঙ্গলবার।
আরও পড়ুন: Bus Accident: সেতু ভেঙে নীচে পড়ল যাত্রী বোঝাই বাস, মৃত কমপক্ষে ২২ জন