গত বছর ১৭ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জন্মদিনে মধ্যপ্রদেশের কুনোর জঙ্গলে ছাড়া হয়েছিল ৮টি চিতা (Cheetah)। নামিবিয়া থেকে আনা সেই চিতাদের একটির মৃত্যু হল (Dies) সোমবার। তার নাম শাশা (Sasha )।
অভয়ারণ্যে তার জন্য তৈরি নির্দিষ্ট ঘেরাটোপের মধ্যেই সোমবার মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় সাশাকে। মধ্যপ্রদেশের বন দফতর জানিয়েছে, জানুয়ারি মাসেই চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন সাশা গুরুতর অসুস্থ। সেই সময় থেকেই শরীরে জলের ঘাটতি জনিত সমস্যা বা ডিহাইড্রেশনে ভুগছিল সে। একই সঙ্গে তার শারীরিক জল বিয়োগের স্বাভাবিক প্রক্রিয়াও ব্যাহত হচ্ছিল। কিডনির সমস্যায় ভুগছিল সে। যদিও অন্য একটি সূত্রের দাবি, সাশাকে নামিবিয়া থেকে আনার আগেই এই কিডনিজনিত রোগে আক্রান্ত হয়েছিল সে।
আরও পড়ুন: Jammu and Kashmir: ভোটের কাশ্মীরে মন্দির উদ্বোধন শাহের, দিলেন পাক অধিকৃত শারদাপীঠ দর্শনের কথা
দেশে চিতার বংশবৃদ্ধির জন্যই নামিবিয়া থেকে ৫টি স্ত্রী চিতা এবং তিনটি পুরুষ চিতা আনা হয়েছিল। গত ফেব্রুয়ারিতে আরও এক ডজন চিতা আনা হয়েছিল নামিবিয়া থেকে। এরমধ্যে সাতটি ছিল স্ত্রী ও পাঁচটি পুরিষ চিতা। সেই সময়ে কুনোর জঙ্গলে চিতার মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল ২০টি। গত সপ্তাহে ফের দু’টি চিতা ছাড়া হয়। তারপর চিতার সংখ্যা দাঁড়ায় ২২টি। শাশার মৃত্যুর পরে কুনোয় চিতার সংখ্যা দাঁড়াল ২১।
মধ্যপ্রদেশের বনদফতর এবং দেশের বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ সংস্থা ডব্লুআইআইয়ের তত্ত্বাবধানে চিতাটির দেখাশোনা চলছিল। সম্প্রতি চিতাটি একটু বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ায় ভোপাল থেকে পশুদের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. অতুল গুপ্তাকে আনা হয়েছিল সাশার চিকিৎসার জন্য। কিন্তু তার পরও বাঁচানো যায়নি চিতাটিকে। মধ্যপ্রদেশের বন দফতর জানিয়েছে, ‘‘দেশের চিতার বংশবৃদ্ধির যে পরিকল্পনা করে চিতাটি আনা হয়েছিল, সাশার মৃত্যুতে সেই প্রকল্পে বড় ক্ষতি হল।’’
আরও পড়ুন: Rahul Gandhi: দিল্লিতে সরকারি বাংলো খালি করার নির্দেশ রাহুলকে, দেওয়া হল ‘ডেডলাইন’