টানা ১০ দিন চেষ্টা চলছিল। বিভিন্ন কৌশল বদল করে উদ্ধারের চেষ্টা করা হয়। অবশেষে বুধবার রাজস্থানের ৭০০ ফুট কুয়ো থেকে তিন বছরের সেই শিশুকে উদ্ধার করল র্যাট-হোল খননকারী দল। উদ্ধারের পর তড়িঘড়ি ওই শিশুকে অ্যাম্বুল্যান্সে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে সে জীবিত আছে না মৃত, তা নিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়। পরে হাসপাতালের তরফে ওই শিশুকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
রাজস্থানের কোতপুতলি-বেহরো জেলার বাসিন্দা ছিল চেতনা। ২৩ তারিখ বাড়ির পাশেই খেলছিল সে। সেখানেই ছিল প্রায় ৭০০ ফুট গভীর একটি কুয়ো। খেলার সময় কোনও ভাবে সেই কুয়োয় সে পড়ে যায়। আটকে পড়ে প্রায় ১৭০ ফুট গভীরে।
উদ্ধারকারীরা জানান, পাথরে আটকে ছিল চেতনা। ১০ দিনের এই উদ্ধারপর্বের প্রতি বাঁকে ছিল চ্যালেঞ্জ। চেতনাকে উদ্ধারের জন্য ২ দিন আগে একটি সুড়ঙ্গ করা হয়। পরে দেখা যায় খনন ঠিকমতো হয়নি। নতুন করে খুঁড়তে শুরু করে তারা। গ্রাউন্ড পেনিট্রেটিং র্যাডার মেশিন ব্যবহার করা হয়। কিন্তু জাতীয় থেকে রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, র্যাটহোল মাইনার্স—সব চেষ্টাই ব্যর্থ হল বুধবার।
এনডিআরএফ কমান্ড্যান্ট যোগেশ মীনা জানান, যখন শিশুটিকে কুয়োর মধ্যে থেকে বাইরে বার করে আনা হয় তখন তার জ্ঞান ছিল না। নড়াচড়া করছিল না সে। মেডিক্যাল অফিসার চিকিৎসক চৈতন্য রাওয়াত বলেন, ‘‘আমরা ওই শিশুর জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করেছিলাম। কিন্তু তাকে বাঁচানো যায়নি।’’ বুধবার রাতেই ওই শিশুর ময়নাতদন্ত হবে। কখন ওই শিশুর মৃত্যু হয়েছে, তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট থেকেই স্পষ্ট হবে বলে জানান চৈতন্য।