বাসে প্রথম পরিচয়। তারপর ধীরে-ধীরে ওই বাসের কন্ডাক্টরের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh Murder) কোরবা জেলার তরুণীর। তারপর সেই কন্ডাক্টর বন্ধুর সঙ্গে আর কথা বলতে না চাওয়ায় নৃশংসভাবে খুন হতে হল তরুণীকে। স্ক্রু ড্রাইভার দিয়ে ৫১ বার কুপিয়ে, মুখে বালিশ চাপা দিয়ে, গলায় মাফলার পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করা হল তরুণীকে। তাঁর সেই কন্ডাক্টর বন্ধু-ই তরুণীকে খুন করেছেন বলে অভিযোগ।
প্রাথমিক তদন্তের পর তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, বছর তিনেক আগে তরুণীর সঙ্গে বন্ধুত্ব হয়েছিল কন্ডাক্টরের। ওই বাসে তরুণী হামেশাই যাতায়াত করতেন। সেই থেকেই দু’জনের আলাপ। তার পর ধীরে ধীরে ফোন নম্বর বিনিময় হয় দুজনের মধ্যে। কয়েক মাস আগে কর্মসূত্রে গুজরাটের আহমেদাবাদে চলে যায় অভিযুক্ত। তার পরেও ফোনে কথোপকথন চলে দুজনের। হঠাৎই কিছুদিন আগে কন্ডাক্টরের সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দেয় তরুণী। এই ব্যবহার মেনে নিতে পারেনি অভিযুক্ত কন্ডাক্টর।
আরও পড়ুন: Bihar Explosion: বিহারের ইটভাটায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, কমপক্ষে ৭ শ্রমিকের মৃত্যু
পুলিশ সূত্রে খবর, তরুণীর পরিবারকেও হুমকি দেওয়া শুরু করে অভিযুক্ত কন্ডাক্টর। তার পরেও তরুণীর সঙ্গে কথা হয় না যুবকের। কোনওরকম যোগাযোগ না রাখায় কোরবায় চলে আসেন কন্ডাক্টর। তার পর সোজা তরুণীর বাড়িতে চলে যায় সে। বাড়িতে অন্য কোনও সদস্য ছিল না। সেই সুযোগে তরুণীকে স্ক্রুড্রাইভার দিয়ে আঘাত করে অভিযুক্ত। তরুণী যেন চিৎকার না করতে পারেন, তাঁর মুখে বালিশও চাপা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। খুন করার পর ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেয় কন্ডাক্টর। তরুণীর ভাই বাড়িতে ঢুকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন তাঁর দিদিকে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর চিকিৎসক তরুণীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। এই ঘটনার পর স্বাভাবিক ভাবেই চাঞ্চল্য ছড়ায় কোরবার ওই আবাসনে।
অভিযোগের ভিত্তিতে ওই যুবকের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু হয়েছে এবং অভিযুক্ত যুবকের খোঁজে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন কোরবার পুলিশ সুপারিটেন্ডেন্ট বিশ্বদীপক ত্রিপাঠী।
আরও পড়ুন: Gujarat: মেয়ের অশ্লীল ভিডিও ছড়ানোর প্রতিবাদ, বিএসএফ জওয়ানকে পিটিয়ে খুন গুজরাটে