Chitra Ramkrishna, the NSE CEO who let a faceless conman ‘yogi’ make all key decisions

হিমালয়ের সাধুর পরামর্শে নিয়োগ ও পদোন্নতি! NSE’র দুই প্রাক্তন শীর্ষ কর্তাকে পাঁচ কোটি জরিমানা

ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের (NSE) প্রাক্তন এমডি-সিইও চিত্রা রামকৃষ্ণের (Chitra Ramkrishna) বিরুদ্ধে অনিয়মের মামলায় উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। সম্প্রতি এই মামলায় ১৯০ পাতার রিপোর্ট প্রকাশ করেছে শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সেবি (SEBI)। তাতেই জানা গিয়েছে, উচ্চপদস্থ কর্তার নিয়োগ থেকে পদোন্নতি, সবটাই হিমালয়ের এক সাধুর কথা মেনে করেছিলেন চিত্রা। ইতিমধ্যে অনিয়মের অভিযোগে চিত্রাকে ৩ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অপর প্রাক্তন কর্ণধার রবি নারাইন ও সুব্রহ্মণ্যনকে ২ কোটি জরিমানা করেছে সেবি।

প্রসঙ্গত, স্টক এক্সচেঞ্জে ২০১৩ সালের এপ্রিলে চিফ স্ট্র্যাটেজিক অ্যাডভাইজ়র হিসেবে নিয়োগ করা হয় সুব্রহ্মণ্যনকে। বছরে বেতন ছিল ১.৬৮ কোটি টাকা। তার আগে বামার লরিতে বছরে ১৫ লক্ষ টাকারও কম বেতনের কাজ করতেন। ছিল না মূলধনী বাজার বা ম্যানেজার স্তরের অভিজ্ঞতাও। সেখানেই এনএসই-তে ২০১৪ সালের এপ্রিলে তাঁর বেতন হয় ২.০১ কোটি এবং ২০১৫ সালের এপ্রিলে ৩.৩৩ কোটি। ২০১৬ সালের এপ্রিলে গ্রুপ অপারেটিং অফিসার এবং এমডি-র উপদেষ্টা নিয়োগ করা হয় তাঁকে, বেতন বেড়ে দাঁড়ায় ৪.২১ কোটি টাকা।

আরও পড়ুন: মহিলাদের উত্তেজক পোশাকে বাড়ছে ধর্ষণ, হিজাব বিতর্কের আবহে মন্তব্য BJP বিধায়কের

সেবি জানিয়েছে, এই পদোন্নতি ও বেতন বৃদ্ধি এবং কাজের রেটিংয়ের ক্ষেত্রে ভাল গ্রেড দেওয়ার সবটাই হয়েছিল কোনও ধরনের মূল্যায়ন ছাড়াই, সাধুর কথায় প্রভাবিত হয়ে। সপ্তাহে আনন্দের কাজের সময়ও কমানো হয়। বিষয়টি জানা সত্ত্বেও নারাইন বা এনএসই-র অন্য কোনও কর্তা গোপনীয়তা রক্ষার দাবি জানিয়ে তা পর্ষদের বৈঠকের মিনিটে নথিভুক্ত করেননি।

২০১৩ সালের এপ্রিল থেকে ২০১৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত এনএসই-র এমডি-সিইও ছিলেন চিত্রা। তাঁর আমলে এক্সচেঞ্জে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল। তার পরেই তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তে নামে নিয়ন্ত্রকটি। সম্প্রতি তারই রায়ে সেবি জানিয়েছে, গত ২০ বছর ধরেই ব্যক্তিগত এবং কাজের বিভিন্ন বিষয়ে হিমালয়ের ওই সাধুর পরামর্শ নেন তিনি, যাঁকে ডাকেন ‘শিরোমণি’ নামে। চিত্রার দাবি, ‘‘হিমালয় পর্বতমালায় অবস্থান হলেও, এই ব্যক্তির কোনও নির্দিষ্ট বাসস্থান নেই। চাইলে সবখানেই হাজির হতে পারেন।’’ এ হেন সাধুর পরামর্শেই সুব্রহ্মণ্যনের নিয়োগ হয়। এমনকি এক্সচেঞ্জের আর্থিক ও ব্যবসা সম্পর্কে গোপন তথ্য, ডিভিডেন্ডের পরিস্থিতি, আর্থিক ফল নিয়োও সাধুর সঙ্গে আলোচনা করেছিলেন চিত্রা। কর্মীদের কাজের মূল্যায়নও হয়েছিল তাঁর
সঙ্গে কথা বলে। এই পুরো ঘটনাকে এই ব্যক্তিদের টাকা লোটার প্রকল্প বলেও সন্দেহ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে সেবি।

আরও পড়ুন: Bhopal: ট্রেনের নিচেয় ঝাঁপিয়ে শিশুর প্রাণ বাঁচালেন মহম্মদ মেহবুব, দেখুন Viral Video