চায়ের দোকান থেকে চা খেতে খেতে অনেকেই পাশের দোকানের সামনে গিয়ে দাত বাড়িয়ে দেন (Cigarette Ban)। ‘দাদা, একটা সিগারেট দিন তো!’ চায়ের সঙ্গে ‘টা’য়ের মতো করেই অনেকের এই বদঅভ্যাসটি থেকে যায়। সেই অভ্যাসে এবার ইতি টানতে হবে। তেমনই সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে সরকার।
জানা গিয়েছে, ধূমপানের বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্তের জন্য সরকারের তরফে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সেই কমিটির তরফেই বলা হয়েছে, সিগারেটের খুচরো বিক্রি বন্ধ করতে হবে। অর্থাৎ আর খোলা প্যাকেট থেকে সিগারেট কেনা যাবে না। কিনতে হলে, পুরো প্যাকেটই নিতে হবে।
স্ট্যান্ডিং কমিটির যুক্তি তামাকের বিরুদ্ধে যে প্রচার চলছে তাতে অন্যতম বাধা হল এই খুচরো সিগারেটের বিক্রি। স্ট্যান্ডিং কমিটি আরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে, দেশের সব বিমানবন্দর থেকে স্মোকিং জোন তুলে দেওয়া হোক। সূত্রের খবর, খুচরো সিগারেটের বিক্রি সম্ভবত সংসদের বাজেট অধিবেশনের আগেই ঘোষণা করতে পারে সরকার।
আরও পড়ুন: Puri Jagannath Temple: মন্দিরে ব্যাপক কড়াকড়ি, স্মার্টফোন ব্যবহার করতে পারবেন না সেবায়েতরাও
স্থায়ী কমিটি আরও বলেছে, জিএসটি কার্যকর হওয়ার পরও, তামাকজাত পণ্যের উপর কর বাড়ানো হয়নি। প্রসঙ্গত, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ‘হু’ ভারত সরকারকে তামাকজাত পণ্যের উপর ৭৫ শতাংশ জিএসটি আরোপ করার পরামর্শ দিয়েছিল। কিন্তু সর্বশেষ ট্যাক্স স্ল্যাব অনুসারে, দেশে বিড়ির উপর ২২ শতাংশ এবং সিগারেটের উপর ৫৩ শতাংশ জিএসটি ধার্য করেছে। আর ধোঁয়াবিহীন তামাকজাত পণ্যের উপর ৬৪ শতাংশ জিএসটি ধার্য করা হয়েছে।
‘ফাউন্ডেশন ফর স্মোক-ফ্রি ওয়ার্ল্ডে’র এক প্রতিবেদন অনুসারে, ভারতে প্রতি বছর প্রায় ৬.৬ কোটি মানুষ ধূমপান করেন। আর, ২৬ কোটিরও বেশি মানুষ অন্যান্য তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার করেন। একই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতে প্রায় ২১ শতাংশ মানুষ তামাক ব্যবহারের কারণে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়। এছাড়া, একাধিক রিপোর্ট অনুযায়ী ভারতে প্রতি বছর প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয় শুধুমাত্র ধূমপানের জন্য।
বিভিন্ন রিপোর্ট অনুযায়ী ভারতে প্রতিবছর সিগারেট খাওয়ার কারণে প্রতিবছর মারা যান ৩.৫ লাখ মানুষ। ২০১৮ সালে ন্যাশনাল কাউন্সিল অব অ্য়াপ্লায়েড ইকোনমিক রিসার্চের একটি পরিসংখ্যান অনুযায়ী সিগারেটের কারণে দেশে যত মানুষ মারা যান তাদের ৪৬ শতাংশ নিরক্ষর মানুষ। পাশাপাশি ১৬ শতাংশ হল কলেজ পড়ুয়া।
আরও পড়ুন: Ravi Kishan: নিজের ৪ সন্তানের জন্য কংগ্রেসকে দায়ী করলেন BJP-র তারকা সাংসদ