প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভাপতিত্বে দিল্লিতে আজ নীতি আয়োগের বৈঠক। নীতি আয়োগের (Niti Ayog) গভর্নিং কাউন্সিলের বৈঠকে যোগ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার সকাল ১০ টায় রাষ্ট্রপতি ভবনের কালচারাল সেন্টারে সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপালদের উপস্থিতিতে শুরু হয়েছে ওই বৈঠক। যার পৌরোহিত্য করছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। কোভিড পরবর্তী সময়ে এই প্রথম সশরীরে বৈঠক করছে নীতি আয়োগের গভর্নিং কাউন্সিল।
বৈঠক শুরু হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ দিয়ে। তারপর মুখ্যমন্ত্রীরা বলবেন। মমতা তৈরি হয়ে গিয়েছেন। রাজ্যের প্রতি কেন্দ্রের আর্থিক বঞ্চনা, ন্যায্য বকেয়া দিনের পর দিন না পাওয়ার কথা তিনি তুলে ধরবেন। ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে এক লক্ষ কোটি রাজ্যের বকেয়ার বিষয়টি বলেছেন তিনি। এর আগে বেশ কয়েকবার এই বৈঠক এড়িয়ে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়। তবে এবার এই বৈঠকে যোগ দিতে দিন কয়েক আগেই দিল্লি উড়ে গিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
ইতিমধ্যেই একান্তে তিনি বৈঠকও সেরেছেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। তৃণমূল সূত্রে দাবি, সেই বৈঠকে রাজ্যের পাওনাগণ্ডা নিয়েই মোদীর সঙ্গে আলেচানা করেছেন মমতা। তবে বিরোধীরা বিশেষ করে এরাজ্যের বাম-কংগ্রেস দিল্লিতে মোদী-মমতা বৈঠকে অন্য ‘গন্ধ’ পাচ্ছে।
পশ্চিমবঙ্গে এসএসসি দুর্নীতির তদন্তে ইডির প্রবল সক্রিয়তার ফাঁকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লি উড়ে গিয়ে মোদীর সঙ্গে একান্তে সাক্ষাতে ভ্রূ কোঁচকাচ্ছে বিরোধীরা। বাম-কংগ্রেসের মতো দলগুলি ‘দিদি-মোদী সেটিং’ তত্ত্বে সুর চড়া করছে। বঙ্গ বিজেপিও বিষয়টিতে যারপরনাই অস্বস্তিতে রয়েছে। সরাসরি কিছু না বললেও এই আবহে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আচমকা দিল্লি সফরে এরাজ্যের পদ্ম নেতারাও বোধ হয় সিঁদুরে মেঘ দেখছেন।
সোমবার ঝড়ের পূর্বাভাস থাকায় মমতার (Mamata Banerjee) সফর কাটছাঁট হল। আজই বিকেলে তিনি কলকাতা ফিরবেন। বস্তুত এই সফরে সম্পূর্ণ কৌশলগত অবস্থান নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি এদিনও সাংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হননি। বাড়িতে দেখা করেননি কোনও রাজনৈতিক বাক্তিত্বের সঙ্গে। তবে বিরোধী নেতৃবৃন্দের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ রয়েছে। কেজরিওয়াল-সহ একাধিক মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তিনি ফোনে কথা বলেছেন।