গুজরাতের পোরবন্দরে ভেঙে পড়ল উপকূল রক্ষা বাহিনীর হেলিকপ্টার। মৃত তিন। আকাশেই আগুন লাগে হেলিকপ্টারটিতে তারপর ভেঙে পড়ে। কিন্তু কী কারণে আগুন লাগল তা এপর্যন্ত জানা যায়নি। তদন্ত শুরু হয়েছে। জানা গিয়েছে, ঘটনায় আহত হয়েছে বেশ কয়েকজন। তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
অ্যাডভান্স লাইট হেলিকপ্টার ধ্রুব সশস্ত্র বাহিনীর তিন সদস্যের নেতৃত্বে টহল দিচ্ছিল আকাশ পথে। হঠাৎই আগুন ধরে ভেঙে পড়ে। ভিডিওতে তেমনই দেখা যায়। ভারতীয় কোস্ট গার্ডের একটি এডভান্সড লাইট হেলিকপ্টার (এএলএইচ) গুজরাটের পোরবন্দরে দুর্ঘটনায় কবলিত হয়ে তিনজন নিহত হয়েছে। ভারতীয় নৌবাহিনী, বিমান বাহিনী, সেনাবাহিনী এবং কোস্ট গার্ডের মোট ৩২৫টিরও বেশি এএলএইচ ধ্রুব হেলিকপ্টার রয়েছে।রবিবার (৫ জানুয়ারি) সকালের দিকে এই দূর্ঘটনা ঘটে ।
ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী পরিচালিত বিমানটি খোলা মাঠে বিধ্বস্ত হয়ে আগুনে পুড়ে গেছে। তবে এখন পর্যন্ত দুর্ঘটনার কারণ জানা যায়নি।
🔴 #BREAKING | #Watch: An Advanced Light Helicopter (ALH) of the Indian Coast Guard crashed in Gujarat's Porbandar, killing three people, as per sourceshttps://t.co/kxUCotX7hc pic.twitter.com/pnB10Trock
— NDTV (@ndtv) January 5, 2025
নিয়মিত মহড়ার সময় উপকূলরক্ষী বাহিনীর অ্যাডভান্সড লাইট হেলিকপ্টার ধ্রুভ পোরবন্দরে বিধ্বস্ত হয়েছে। ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর ঘাঁটিতে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। দুর্ঘটনায় তিনজন নিহত ও আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধারের পর সেখানকার একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
সামুদ্রিক আইন প্রয়োগ এবং অনুসন্ধান ও উদ্ধার কাজ পরিচালনা করে ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী। ভারতের আঞ্চলিক জলসীমায় নিরাপত্তা নিশ্চিতেও কাজ করে সংস্থাটি। তবে উড়োজাহাজ বিধ্বস্তে নিহতদের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
চার মাস আগে গত সেপ্টেম্বরে গুজরাটের পোরবন্দরের কাছে একটি এএলএইচ এমকে-২ হেলিকপ্টার আরব সাগরে বিধ্বস্ত হয়। ওই ঘটনায় উড়োজাহাজের তিন ক্রু সদস্য নিখোঁজ হন। উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের এই ঘটনায় দুই ক্রু সদস্যের মৃতদেহ উদ্ধার করা হলেও মিশনের পাইলট ইন কমান্ড রাকেশ কুমার রানা নিখোঁজ ছিলেন।
পরে এক মাসের দীর্ঘ অনুসন্ধান শেষে গত অক্টোবরে দেশটির উপকূলরক্ষী বাহিনী গুজরাট উপকূল থেকে পাইলট রাকেশের মরদেহ উদ্ধার করে।