প্রবল ঠান্ডাট কাঁপছে দিল্লী। শৈত্যপ্রবাহের দাপটে হারকাঁপানো ঠান্ডা উত্তরভারত জুড়ে। পাশাপাশি ঘন কুয়াশার জেরে কমেছে দৃশ্যমানতা। ফলে ব্যহত ট্রেন থেকে বিমান পরিষেবা। ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে দৃশ্যমানতা কমে ৫০ মিটারে পৌঁছেছে। বিমানের উড়ান ও অবতরণে সমস্যা হওয়ায় ভোরের দিকের বেশিরভাগ বিমান বাতিল করা হয়েছে। বেলার দিকেও ঘন কুয়াশার জেরে একাধিক বিমানের সময় পরিবর্তন করা হয়।
রবিবার দিল্লির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পূর্ববর্তী রেকর্ড অনুযায়ী, গত দু’বছরেও বছরের শুরুতে তাপমাত্রার পারদপতন এই মাত্রায় দেখা যায়নি। সোমবার সকালে রাজধানী শহরের গড় দৃশ্যমানতা ছিল মাত্র ২০০ মিটার। যে গাড়ি রাস্তায় বেরিয়েছে, সেগুলি ধীর গতিতে চলছে। হেডলাইট জ্বালিয়ে চালাতে হচ্ছে গাড়ি। মৌসম ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, গোটা উত্তর ভারত জুড়েই ঘন কুয়াশার দাপট চলছে। পঞ্জাবের ভাটিন্ডায় রাতের দিকে দৃশ্যমানতা শূন্যতে নেমে এসেছিল।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ২৯টি ট্রেন কমপক্ষে ২ ঘণ্টা দেরিতে চলছে। তবে এর মধ্যে খুশির খবর শুনিয়েছে মৌসম ভবন। তাদের পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামীকাল, ১০ জানুয়ারি থেকে আবহাওয়ার সামান্য উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা। ঘন কুয়াশার কারণে পঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডীগড়, দিল্লি এবং উত্তরপ্রদেশে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। অপরদিকে রাজস্থান এবং বিহারে কমলা সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর।
আবহবিদদের অনুমান, শৈত্যপ্রবাহের পরিস্থিতি বজায় থাকবে রাজধানী-সহ রাজস্থান, হরিয়ানা এবং চণ্ডীগড়েও। আগামী কয়েক দিন এই পরিস্থিতি চলবে ওই রাজ্যগুলিতে। তবে পশ্চিমি ঝঞ্ঝার কারণে কিছুটা স্বস্তি মিলতে পারে হাড় জমানো ঠান্ডার কামড় থেকে, এমনটাই জানিয়েছে মৌসম ভবন।
আরও পড়ুন: Joshimath: শিবলিঙ্গে ফাটল, ধসে গেল শঙ্করাচার্যের মঠ! জোশীমঠকে বসবাসের অযোগ্য বলে ঘোষণা