নতুন করে দেশে ও বিদেশে চোখ রাঙাচ্ছে কোভিড। সবচেয়ে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি কেরলে। সেখানে নভেম্বর মাসে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৭০ জন। ডিসেম্বরের প্রথম ১০ দিনে আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ৮২৫-তে। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে নতুন করে ৩৩৫ জন কোভিড -১৯-এ সংক্রামিত হয়েছে। সব মিলিয়ে সিঁদুরে মেঘ দেখছে কেন্দ্র। বিশেষত দক্ষিণের রাজ্যে ভাইরাসের জেএন.১ প্রজাতি মেলায় চিন্তায় বিশেষজ্ঞরা।
আতঙ্ক-ছড়ানো ভ্যারিয়েন্ট হয়ে দাঁড়িয়েছে ‘পিরোলা’ ওরফে ‘বিএ.২.৮৬’ (BA.2.86 or Pirola)। দেখা গিয়েছে, শীত পড়তেই এ বছর বেড়ছে করোনার দাপট। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৩৩৫ জন কোভিড -১৯-এ সংক্রমিত হয়েছেন! এর জেরে চিকিৎসাধীন করোনারোগীর সংখ্যাও বাড়ল। কোভিডে পাঁচজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। এর মধ্যে চারটি মৃত্যুই কেরালায়। কেরালাতেই কোভিডের সাব-ভেরিয়েন্ট জেএন.১ (JN.1) শনাক্ত হয়েছে। অন্য মৃত্যুটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশে।
করোনা মহামারী শুরুর ২ বছর পর চলতি বছরের ৩১ মার্চ থেকে কোভিড প্রোটোকলের যাবতীয় বিধিনিষেধ সরকারিভাবে তুলে নিয়েছিল কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে এ ব্যাপারে প্রতিটি রাজ্যকে নির্দেশও পাঠানো হয়েছিল। সাড়ে আটমাসের মাথায় ১৮ ডিসেম্বর ফের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে চিঠি পাঠিয়ে রাজ্যগুলিকে জানানো হল, কোভিড নিয়ম মেনে চলতে হবে। আট দফা নির্দেশিকা মেনে চলার কথা বলা হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পাঠানো চিঠিতে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব সুধাংশ পন্থের সাক্ষর সম্বলিত নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কোভিড সতর্কতায় প্রতিটি রাজ্যকে জেলাগুলিকে নজরদারি আরও বাড়াতে হবে।
শুধু ভারত নয়, বিশ্বজুড়েই নতুন করে চোখ রাঙাচ্ছে করোনার নয়া ভেরিয়েন্ট। ইতিমধ্যে সিঙ্গাপুরে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। হাসপাতালগুলিতে বেড নেই। তথৈবচ হাল আইসিসিইউতেও। সংক্রমণ ঠেকাতে তাই ফের মাস্ক বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্য মন্ত্রক। বিমানবন্দরে প্রবেশের ক্ষেত্রে সকলের মাস্ক পরা এবং কোভিডের দুটি টিকা নেওয়া বাধ্যতামূলক বলে জানিয়েছে সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্য মন্ত্রক। সিঙ্গাপুরের দেখানো পথে হেঁটে মাস্ক বাধ্যতামূলক করেছে ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া বিমানবন্দরেও।