গোমূত্র মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইলেন ডিএমকে সাংসদ ডিএনভি সান্থিল কুমার।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর), লোকসভায় জম্মু ও কাশ্মীর সংরক্ষণ (সংশোধনী) বিল, ২০২৩-এর বিষয়ে বক্তব্য রাখছিলেন ডিএমকে সাংসদ সেন্থিলকুমার। সেই সময় তিনি বলেন, “দেশের মানুষের মনে রাখতে হবে, বিজেপির শক্তি এবং তারা শুধু ভোটে জিতছে প্রধানত হিন্দিভাষী রাজ্যগুলিতে। যেগুলিকে আমরা সাধারণত বলি গোমূত্র রাজ্য। আপনারা দক্ষিণ ভারতে আসতে পারবেন না। তামিলনাড়ু, কেরল, অন্ধ্র, তেলঙ্গানা এবং কর্নাটকে ফলাফল আপনারা দেখতেই পাচ্ছেন। আমরা সেখানে অত্যন্ত শক্তিশালী। আপনাদের সেখানে পা রাখার এবং এই সমস্ত দক্ষিণী রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার স্বপ্নও দেখা উচিত নয়। জম্মু ও কাশ্মীরকে আপনারা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল বানিয়েছেন, কারণ, সেই রাজ্যে আপনারা ভোটে জিততে পারেননি। তাই, উপরাজ্যপালের মাধ্যমে এই রাজ্য শাসন করতে চেয়েছেন।”
এদিন, এই বিতর্কিত বিষয়টি লোকসভায় তোলেন বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি। সনিয়া গান্ধীর কাছ থেকে এই মন্তব্যের ব্যাখ্যা চেয়েছেন তিনি। ইন্ডিয়া জোটের বিরুদ্ধে ভারতকে উত্তর-দক্ষিণে ভাগ করার অভিযোগ করেছেন। সংসদে ডিএমকে সাংসদের ওই বিতর্কিত মন্তব্যের বিষয়ে এদিন সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি বলেন, “ওরা ভুলে গিয়েছে, কর্নাটকে বিজেপি সরকার ছিল। কর্নাটকের বেশিরভাগ সাংসদ বিজেপির। তেলঙ্গানা থেকে আমাদের ৩ জন সাংসদ রয়েছে। ৮ জন বিধায়ক সেই রাজ্যে নির্বাচিত হয়েছেন। ভারতকে ভাগ করার চেষ্টা করা উচিত নয়। আমি আশা করি সনিয়া গান্ধী এই বিষয়ে ব্যাখ্যা দেবেন।”
এই মন্তব্য আসলে বিরোধীদের ‘টুকরে টুকরে’ মন্তব্যের পরিচয় বলে এদিন তোপ দাগেন বিজেপি সাংসদ পীযূষ গোয়েল। মঙ্গলবারই বিজেপি সাংসদ মীনাক্ষি লেখি বলেছিলেন, ”এমন মন্তব্য সনাতন ঐতিহ্যের প্রতি অসম্মান।” ডিএমকে-র শরিক কংগ্রেসও তাঁর এই মন্তব্যের নিন্দা করেছে। বিষয়টি নিয়ে রীতিমতো ক্ষোভপ্রকাশ করেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। বুধবার সান্থিল বলেন, আমার কথা হয়তো আমি সঠিকভাবে বোঝাতে পারিনি। তবে নিজের এই মন্তব্যের জন্য আমি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।