মুসলিম মহিলারা হিজাব পরলে অসুবিধা কোথায়? প্রশ্ন তুলে রাজ্যসভায় কেন্দ্র সরকারকে তুলোধোনা করলেন কেরলের (CPIM) জন ব্রিটাস। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে নিশানা করে সিপিএম সাংসদ জন ব্রিটাস বলেন,”সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) কর্ণাটক সরকার জানিয়েছে ধর্মনিরপেক্ষতা বজায় রাখতে তারা স্কুল কলেজে হিজাব পরার অনুমতি দিচ্ছে না। মেনে নিলাম। কিন্তু ভারতের মতো দেশ, যার সবচেয়ে বড় রাজ্য উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) সবসময় গেরুয়া পোশাক পরে থাকেন, তখন কেন আপত্তি হয় না?”
সিপিএমের ওই সাংসদের দাবি, বিজেপি (BJP) সরকার হিজাব ইস্যুতে একগুঁয়েমি দেখানোই আসলে ক্ষতি হচ্ছে মুসলিম ছাত্রীদের। স্রেফ কর্ণাটকেই এক লক্ষ মুসলিম পড়ুয়া স্কুল-কলেজ ছেড়েছে। ওই সিপিএম সাংসদের দাবি, মুসলিমদের শিক্ষা এবং সামাজিক ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়া নিয়ে সাচার কমিটির রিপোর্ট কার্যকর করুক সরকার।
Hijab is against secular dresscode but no issue if the CM of the largest state wears a religious attire! Quality of a democracy is always judged by the representation it gives to various sections & thats where we have to seriously ponder over!Spoke on pvt member resolution in RS. pic.twitter.com/OGWlADSrof
— John Brittas (@JohnBrittas) February 10, 2023
কর্ণাটকের সরকারি কলেজে হিজাব পরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল সরকার। এই নিষেধাজ্ঞায় উত্তাল হয়েছিল রাজ্য রাজনীতি। এই নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতায় পথে নেমে আন্দোলন শুরু করেন মুসলিম পড়ুয়াদের একাংশ। পালটা আসরে নামে হিন্দুত্ববাদীরা। বিক্ষোভ হিংসাত্মক রূপ নেয়। কিন্তু তাতেও রাজ্য সরকার স্কুল-কলেজে হিজাব পরায় নিষেধাজ্ঞার নির্দেশিকা প্রত্যাহার করেনি। আদালতে গিয়েও লাভ হয়নি হিজাবপন্থীদের।
রাজ্যসভায় মুসলিম লীগ সংসদ বলেন, গত কয়েক মাস ধরে কেবল বুলডোজ হচ্ছে। মানুষকে উৎখাত করা হচ্ছে। অসম এবং উত্তরাখণ্ডের উদাহরণ দেন তিনি। তিনি বলেন মুসলিমদের উন্নয়ন যদি করতেই হয় তবে সরকার সাচার কমিটির রিপোর্টকে বাস্তবায়িত করুক। লীগ সাংসদ ওয়াহাবের বক্তব্যকে সমর্থন করেন সিপিএম সাংসদ জন ব্রিটাস।