আরজি করে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় সারা দেশ যখন তোলপাড়, মহিলাদের নিরাপত্তা প্রসঙ্গে মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। দিল্লিতে জেলা বিচার বিভাগের জাতীয় সম্মেলনে গিয়ে তিনি জানালেন, দেশে মহিলাদের নিরাপত্তার জন্য অনেক কঠোর আইন রয়েছে। তবে নারী নির্যাতন আটকাতে সেই আইনগুলিকে আরও সক্রিয় করা প্রয়োজন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং অন্য বিচারপতিরা।
সুপ্রিম কোর্ট আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে মোদীর কথায়, নারীঘটিত অপরাধের যদি দ্রুত বিচার হয়, তাহলে দেশের অর্ধেক জনসংখ্যা অর্থাৎ মেয়েরা নিজেদের সুরক্ষিত মনে করবে। তিনি আরও বলেন, মহিলাদের নিরাপত্তার জন্য দেশে অসংখ্য আইন আছে। ২০১৯ সালে ফাস্ট ট্র্যাক আদালত আইন পাশ হয়েছিল। যার অধীনে সাক্ষ্য জমা কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছিল। এক্ষেত্রে জেলার পর্যবেক্ষক কমিটিগুলির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে। আমরা এই কমিটিগুলিকে আরও শক্তিশালী করার নিশ্চয়তা দিতে পারি। মহিলা নির্যাতনের মামলার যেভাবেই হোক দ্রুত বিচার দেওয়া চাই। যাতে বাকি মহিলারা অন্তত আশ্বস্ত হতে পারেন।
এরই পাশাপাশি বিচারে বিলম্ব প্রসঙ্গে মোদি বলেন, ”বিচারে বিলম্ব রুখতে গত এক দশকে নানা স্তরে কাজ হয়েছে। গত ১০ বছরে দেশের ন্যায়বিচার দানের পরিকাঠামোকে মজবুত করতে ৮ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে। গত ২৫ বছরে এই সংক্রান্ত যত খরচ হয়েছে তার ৭৫ শতাংশই ব্যয় হয়েছে এই এক দশকে।”
Delhi | Prime Minister Narendra Modi says, “Today, atrocities against women, safety of children… are serious concerns of the society. Many strict laws have been made in the country for the safety of women, but we need to make it more active. The faster the decisions are taken… pic.twitter.com/ao7D3hl4nz
— ANI (@ANI) August 31, 2024
প্রসঙ্গত, গত ২২ আগস্ট ধর্ষণ রোধে কঠোর আইন আনার দাবিতে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল, শুক্রবারও তিনি একই দাবিতে ফের চিঠি লেখেন মোদিকে। মমতার দাবি, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের যে ঘটনা ঘটছে, সেগুলি রুখতে অবিলম্বে কঠোরতম আইন আনতে হবে। তাঁর প্রস্তাব, দেশের প্রতিটি জায়গায় ফাস্ট ট্র্যাক স্পেশাল কোর্ট (Fast Track Court) তৈরি করা হোক। তার মাধ্যমে ১৫ দিনের মধ্যে বিচারপ্রক্রিয়া শেষ করে দোষীদের শাস্তি দেওয়ার বিষয়টি ত্বরান্বিত হোক। এবার সেই একই সুর শোনা গেল প্রধানমন্ত্রীর মুখেও।