ডানার আতঙ্কে বন্ধ করা হল পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের দরজা। সেই সঙ্গে সাময়িকভাবে বন্ধ করা হল কোনারকের মন্দির-সহ ওড়িশার অধিকাংশ দর্শনীয় স্থান। ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত কোনও পর্যটক যেতে পারবেন না এই জায়গাগুলোতে।
সোমবারই রাজ্য প্রশাসন ঘোষণা করে মঙ্গলবারের মধ্যে পর্যটকদের পুরী ছাড়তে হবে। সেই ঘোষণার পর পরই পুরী ছাড়ার হিড়িক পড়ে যায় পর্যটকদের মধ্যে। বুধবার প্রায় পর্যটকশূন্য পুরী। ঝড়ের প্রভাবে যাতে মন্দির, জাদুঘরগুলির কোনও ক্ষতি না হয়, তার জন্য আগাম সতর্কতামূলক পদক্ষেপ করেছে এসএআই। সেই পদক্ষেপের অঙ্গ হিসাবেই বাঙালির জনপ্রিয় দুই জায়গা পুরীর মন্দির এবং কোনারকের সূর্যমন্দির বন্ধের নির্দেশ দিল এএসআই।
বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ওড়িশার ভিতরকণিকা পার্ক এবং ধামরা বন্দরের মধ্যে স্থলভূমিতে আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড় ডানা।ইতিমধ্যেই গঞ্জাম, পুরী, জগৎসিংহপুর, কেন্দ্রাপাড়া, ভদ্রক, বালেশ্বর, ময়ূরভঞ্জ, কেওনঝড়, ঢেঙ্কানল, জাজপুর, আঙুল, খুরদা, নায়ারণগড় এবং কটকে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এই জেলাগুলিতে সমস্ত স্কুল, কলেজ বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জগন্নাথ মন্দির এবং কোনারকের সূর্যমন্দিরের পাশাপাশি ময়ূরভঞ্জের সিমলিপাল ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কেন্দ্র এবং কেন্দ্রাপাড়ার ভিতরকণিতা জাতীয় উদ্যান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, ওড়িশার ১৪টি জেলা লন্ডভন্ড হতে পারে ডানার দাপটে। ১১০ কিমি বেগে ঝড় হতে পারে ওই এলাকাগুলোতে। এহেন পরিস্থিতিতে ওড়িশার বিপর্যয় মোকাবিলা মন্ত্রী সুরেশ পূজারী আবেদন করেন, ২৪ এবং ২৫ অক্টোবর যেন কেউ পুরীতে না আসেন।
ওড়িশার বিপর্যয় মোকাবিলা মন্ত্রী সুরেশ পূজারী জানিয়েছেন, ৫০০০ ত্রাণশিবির বানানো হয়েছে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ২০টি দল মোতায়েন করা হয়েছে ঝড় মোকাবিলার জন্য। এ ছাড়াও সেনা, নৌবাহিনী এবং উপকূলরক্ষী বাহিনীকেও প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।