Cyclone Michaung To Make Landfall In Andhra Pradesh Coast On 5th December

Cyclone Michaung: বঙ্গোপসাগরে ফুঁসছে ‘মিগজাউম’! ঘূর্ণিঝড়ের আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা কোথায় সবচেয়ে বেশি

বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের চোখ রাঙানি। শক্তি বাড়াচ্ছে নিম্নচাপ। মৌসম ভবনের তরফে জানানো হয়েছে, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের উপরে তৈরি নিম্নচাপটি ইতিমধ্যেই গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে পুদুচেরি থেকে ৬৩০ কিলোমিটার দক্ষিণপূর্বে অবস্থান করছে গভীর নিম্নচাপটি। আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে।

শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী পুদুচেরি থেকে পূর্ব ও দক্ষিণপূর্ব দিকে ৬৩০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে এই ঘূর্ণিঝড়। নেল্লোর থেকে দক্ষিণপূর্বে ৭৪০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে ঘূর্ণিঝড়টি।  এখনও পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, ৪ ডিসেম্বর দক্ষিণ অন্ধ্রপ্রদেশ ও সংলগ্ন তামিলনাড়ুতে এর প্রভাব উপকূলীয় অঞ্চলে দেখা যেতে শুরু করবে আরও গভীরভাবে। ৪ ডিসেম্বর দুপুর থেকেই তা দেখা যাবে। আপাতত পূর্বাভাস বলছে, ৫ ডিসেম্বর দুপুরে ঘূর্ণিঝড়ের ল্যান্ডফল হবে। যেভাবে সিস্টেমটি এগোচ্ছে, তাতে নেল্লোর ও মছিলিপত্তনমের মাঝে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড়টি। ল্যান্ডফলের সময়ে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ৮০ থেকে ৯০ কিলোমিটার। সর্বোচ্চ ১০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টার গতিবেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে।

সেই সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে আপাতত পশ্চিমবঙ্গের কোথাও বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করা হয়নি। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) পর্যন্ত রাজ্যের কোনও জেলায় বৃষ্টি হবে না। যা বৃষ্টি হবে; তা মূলত তামিলনাড়ু, আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ, অন্ধ্রপ্রদেশের দিকে হবে।

তবে পশ্চিমবঙ্গের শীতের পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম। আবহাওয়াবিদদের বক্তব্য, ওই সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গের পারদ নামছে না। যতদিন না ওই সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব কেটে যাচ্ছে, ততদিন জাঁকিয়ে শীত পড়ার সম্ভাবনা নেই।