এক, দু’বার নয়। এই নিয়ে পঞ্চমবারের জন্য সুপ্রিম কোর্টে পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মীদের ডিএ মামলার শুনানি পিছিয়ে গেল। আপাতত মামলাটির শুনানি স্থগিত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। ১১ এপ্রিল এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
গত ৫ ডিসেম্বর ডিএ মামলার প্রথম শুনানির দিন ছিল। কিন্তু শুনানি হয়নি। এর পর আরও তিন বার শুনানির দিন পিছিয়ে অবশেষে ২১ মার্চ হবে বলে জানানো হয়। কিন্তু এ বারও শুনানি পিছিয়ে গেল। এই শুনানির তারিখ ৪ বার পিছিয়ে অবশেষে মঙ্গলবার হবে বলে জানানো হয়েছিল। মঙ্গলবার মামলাটির শুনানি হওয়ার কথা ছিল সুপ্রিম কোর্টে। কিন্তু শেষ মুহূর্তে মামলাটির শুনানি আবার স্থগিত রাখা হল।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: কড়া নজরে পঞ্চায়েত ভোট, কালীঘাটে শীর্ষ নেতাদের বৈঠক ডাকলেন নেত্রী মমতা
২০২২ সালের মে মাসে কলকাতা হাই কোর্ট রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের ৩১ শতাংশ হারে ডিএ দেওয়ার নির্দেশ দেয়। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য। তাদের যুক্তি, হাই কোর্টের সিদ্ধান্ত মেনে ডিএ দিতে হলে প্রায় ৪১ হাজার ৭৭০ কোটি টাকা খরচ হবে। যা রাজ্য সরকারের পক্ষে বহন করা কঠিন। রাজ্য সরকারি কর্মচারী সংগঠনের (কনফেডারেশন) আইনজীবী দাবি করেন, বকেয়া ডিএ দিতে হলে রাজ্যের উপর বিশাল অঙ্কের আর্থিক বোঝা চাপবে, এ কথা ঠিক। আবার এ-ও ঠিক যে, ডিএ সরকারি কর্মচারীদের প্রাপ্য অধিকার। তা থেকে তাঁদের বঞ্চিত করা যাবে না। কিন্তু বার বার শুনানি পিছোনোয় বঞ্চিতই থেকে যাচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মচারীরা।
কেন্দ্রীয় হারে ডিএ-এর দাবিতে রাজ্য সরকারি কর্মীদের আন্দোলন ৫৬ দিনে পড়েছে। চলছে অনশন। সুপ্রিম কোর্টে ফের মামলা পিছনোয় আন্দোলনকারীদের অপেক্ষার প্রহর বাড়ল। তবে এতে হতাশায় ডুবতে নারাজ ডিএ আন্দোলনকারী যৌথ মঞ্চের সদস্যরা। যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ বলেন, ‘আমরা উদ্যম হারাচ্ছি না। হকের দাবি না মিটলে এরপর এপ্রিল থেকে আমরা লাগাতার কর্মবিরতি শুরু করব। আন্দোলন চলবে এবং আরও তীব্রতর হবে।’
আরও পড়ুন: Akhilesh Yadav : CBI-ED’র ‘অতিসক্রিয়তা’র প্রতিবাদ, কলকাতায় নেমেই বিজেপিকে কটাক্ষ অখিলেশের